ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ স্মারক জাতীয় বিতর্ক উৎসব-২০২২ এর ফাইনাল রাউন্ডে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি। রানার-আপ হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির বাবা এম এ ওয়াদুদের নামে চাঁদপুর ডিবেট মুভমেন্ট এই বিতর্ক উৎসবের আয়োজন করা হয়। এই আয়োজনের নাম দেয়া হয়েছে ‘ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদ স্মারক জাতীয় বিতর্ক উৎসব-২০২২’।
চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে এই বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী। দেশের ৩২ বিশ্ববিদ্যালয়সহ ১৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় দুই হাজার বিতার্কিক এতে অংশ নেন।
শনিবার সমাপনী দিনে ‘এই সংসদ ভিসামুক্ত বিশ্ব নিশ্চিত করতে উদ্যোগ নেবে’ বিষয়ক প্রতীকী বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সরকারি দলের পক্ষে বিতার্কিক ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. শামীম রেজা ও যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক মাহফুজ মিশু। বিরোধী দলের বিতার্কিক ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মশিউর রহমান, ডা. আব্দুর নুর তুষার প্রমুখ।
এদিন ‘চিকিৎসক ও প্রকৌশলীরা অন্য পেশায় যেতে পারবেন না’ শিরোনামে অন্য একটি রম্য বিতর্কেও অংশ নেন শিক্ষামন্ত্রী।
তাছাড়া সমাপনী দিবসে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ‘কেমন হবে স্বপ্নের শিক্ষা ব্যাবস্থা’ শিরোনামে একটি বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘গণতান্ত্রিক চর্চা এগিয়ে নিতে বিতর্ক শক্তিশালী সহায়ক ভূমিকা পালন করে। বিতর্ক আমাদের নিত্যদিনের অনুষঙ্গ। আমাদের তরুণ সমাজ বর্তমান ও আগামী বিশ্বের চালিকাশক্তি এবং নেতৃত্বের কর্ণধার। আসুন আমরা আমাদের চেতনাকে শাণিত করে যুক্তিনির্ভর চিন্তাকে আরও বিস্তৃত করি।’
ভাষাবীর এমএ ওয়াদুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্টের চেয়ারম্যান দীপু মনির সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন একাত্তর টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু, বাংলাদেশ ডিবেট ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি ডা. আবদুর নূর তুষার, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মশিউর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণসংযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. এসএম শামীম রেজা ও নগদ-এর ডাইরেক্টর সোলাইমান সুখন, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল প্রমুখ।
শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, ড্যাফোডিল পরিবারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান, অধ্যাপক অসিত বরণ দাস ও বাবুরহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোশারফ হোসেন।