বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাবিতে শিক্ষকদের মূল্যায়ন করবে শিক্ষার্থীরা

  •    
  • ১২ অক্টোবর, ২০২২ ২৩:০০

অধ্যাপক ছামাদ বলেন, ‘ছাত্ররা তার কোর্স শিক্ষককে মূল্যায়ন করার একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। একজন শিক্ষক কেমন পড়ায়, কোর্স কনটেন্ট কেমন, সেই শিক্ষক সময়মতো ক্লাসে গেলেন কি না ইত্যাদি বিষয়ে ছাত্ররা এখন মতামত দিতে পারবে।’

শিক্ষার্থীদের দিয়ে শিক্ষককে মূল্যায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এই সংক্রান্ত একটি গাইডলাইনও তৈরি করা হয়েছে। তবে এটা কখন থেকে এবং কীভাবে কার্যকর করা হবে সে বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেবে কর্তৃপক্ষ।

বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিষদের (অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং শিক্ষা পরিষদের (অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল) সদস্য অধ্যাপক ড. মো আবদুস ছামাদ।

বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব নবাব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সভার সভাপতিত্ব করেন।

অধ্যাপক ছামাদ বলেন, ‘ছাত্ররা তার কোর্স শিক্ষককে মূল্যায়ন করার একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। একজন শিক্ষক কেমন পড়ায়, কোর্স কনটেন্ট কেমন, সেই শিক্ষক সময়মতো ক্লাসে গেলেন কি না ইত্যাদি বিষয়ে ছাত্ররা এখন মতামত দিতে পারবে।’

তিনি বলেন, ‘একটা কোর্স শেষে শিক্ষার্থীদের একটা ফরম দেয়া হবে। সেখানে বেশ কিছু বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মতামত জানতে চাওয়া হবে। যেমন, সেই শিক্ষক সময়মতো ক্লাসে এসেছে কি না, সময়মতো কোর্স শেষ হয়েছে কি না, কোর্স কনটেন্ট কেমন, সেই শিক্ষকের ক্লাস প্রস্তুতি কেমন- এসব বিষয়ের উপর শিক্ষার্থীদের মার্ক দেয়ার সুযোগ থাকবে এবং পরে সবগুলো গড় করে একটা রেটিং নির্ধারণ করা হবে।’

শিক্ষার্থীদের মূল্যয়ান করার জন্য মন্তব্য লেখার জায়গাও রাখা হবে জানিয়ে অধ্যাপক সামাদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা একটা মন্তব্য করতে পারবে এবং যেকোন বিষয়ে সাজেশন, বিশেষ করে কোর্স কনটেন্ট কীভাবে ইমপ্রুভ করা যায় সে বিষয়ে সাজেশন দিতে পারবে। কোন ছাত্র কী মার্ক করেছে সেটা কোর্স শিক্ষক জানতে পারবে না। এটা শুধু বিভাগের চেয়ারম্যান, ইনিস্টিটিউটের পরিচালক এবং অনুষদের ডিনের কাছে যাবে।’

বিজ্ঞান অনুষদের এই ডিন বলেন, ‘এটা এখনো ফাংশনাল না। কীভাবে কার্যকর করা হবে সেটা পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। শুধু একটা গাইডলাইন হয়েছে।’

শিক্ষা পরিষদের এই সভায় বাইরের শিক্ষার্থীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সের সুযোগ, ন্যানো টেকনলোজি সেন্টার স্থাপন, ডাবল মাস্টার্সকে এমফিল ইক্যুইভ্যালেন্টের সুযোগ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

অধ্যাপক আবদুস ছামাদ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স হবে লাইফলং। আসন খালি থাকা সাপেক্ষে এবং বিভাগের সক্ষমতা অনুযায়ী দেশের বা বাইরের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স করতে পারবে। তবে বিদেশি শিক্ষার্থী ছাড়া বাকিদের হলে অ্যাকোমডেশন দেয়া হবে না।’

তিনি জানান, এক বিভাগের শিক্ষার্থী তার বিভাগের সাথে ইন্টার-রিলেটেড অন্য বিভাগেও মাস্টার্স করতে পারবে।

ছামাদ জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যানো টেকনলোজি সেন্টার স্থাপন করা হবে। সেখানে ন্যানো টেকনলজি নিয়ে কাজ করা হবে। এটা বাংলাদেশে প্রথম। আগামী বিশ্ব ন্যানো টেকনোলজি নিয়ন্ত্রণ করবে। সেই লক্ষ্যেই এই সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। এই সেন্টারের জন্য গঠনতন্ত্রসহ সব কিছু হয়ে গেছে। এখন শুধু কার্যক্রমে যাওয়ার পালা।

ডাবল মাস্টার্সকে এমফিল ইক্যুইভ্যালেন্টের সুযোগ বাতিল করার বিষয়ে অধ্যাপক ছামাদ বলেন, ‘আগে কেউ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করে বাইরে থেকে যদি আবার মাস্টার্স করে আসে তখন সেটাকে এমফিল ইক্যুইভ্যালেন্ট হিসেবে সুযোগ দেয়া হতো। বাইরের দেশের মাস্টার্সকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমফিল ডিগ্রির সমতুল্য করা হয়। কিন্তু সেটা তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিকে অবলোপন করে। ২০২৩ সাল থেকে এটি আর থাকবে না। সেই মাস্টার্স মাস্টার্স হিসেবেই থাকবে। সে অনুযায়ী তার যেই সুবিধা পাওয়ার কথা, সেটি সে পাবে।’

এ বিভাগের আরো খবর