বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জমি চাইলেন ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ

  •    
  • ১১ অক্টোবর, ২০২২ ১৯:০৭

অধ্যক্ষ বলেন, ‘আমাদের অনেক অভিভাবক সামর্থ্যবান আছেন। তারা সহযোগিতা করতে পারেন। অথবা কেউ চাইলে আমাদের জমি দান করে পাশে দাঁড়াতে পারেন।’

রাজধানীর ধানমন্ডিতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীদের ক্যাম্পাস স্থায়ীকরণের দাবি মানার আশ্বাস দিয়েছেন অধ্যক্ষ কামরুন্নাহার। এই আশ্বাসে রাস্তা ছেড়েছেন ছাত্রীরা। এসময় তিনি ক্যাম্পাস স্থায়ী করতে বিত্তবান অভিভাবকদের কাছে জমি দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ধানমন্ডি ৭ নম্বর এলাকায় মিরপুর সড়ক বন্ধ করে দেয় ভিকারুননিসার ছাত্রীরা।

বিকেল ৪টার দিকে আন্দোলনরত ছাত্রীদের দাবির বিষয়ে কথা বলতে আসেন অধ্যক্ষ কামরুন্নাহার। এ সময়ে আন্দোলনরত ছাত্রীদের তোপের মুখে পড়েন তিনি।

শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই ক্যাম্পাস বন্ধ হচ্ছে না। এমনকি ধানমন্ডি ক্যাম্পাস বন্ধের কোনো আলোচনা হয়নি। স্থায়ী ক্যাম্পাস করার চেষ্টা চলবে। পরবর্তীতে এই বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে সেটি শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

স্থায়ী ক্যাম্পাস করার জন্য জমির সন্ধান করা হবে জানিয়ে অধ্যক্ষ বলেন, ‘আমাদের অনেক অভিভাবক সামর্থ্যবান আছেন। তারা সহযোগিতা করতে পারেন। অথবা কেউ চাইলে আমাদের জমি দান করে পাশে দাঁড়াতে পারেন।’

এদিকে দুপুর ৩টার দিকে অধ্যক্ষের প্রতিনিধি হয়ে ছাত্রীদের স্কুলে ফিরিয়ে নিতে আসেন শিক্ষক প্রতিনিধি ড. ফারহানা। অধ্যক্ষ নিজে না এসে প্রতিনিধি পাঠানোয় অভিভাবক ও ছাত্রীদের তোপের মুখে পড়েন তিনি।

পরে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি ও এসিল্যান্ড ধানমন্ডি (রাজস্ব) সার্কেল শহীদুল ইসলাম সোহাগ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

আন্দোলনরত ছাত্রী ও অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সভাপতি ঢাকা জেলার প্রশাসক। তিনি নিজে বিষয়টি জেনেছেন। ভিকারুননিসা নূন স্কুলের ধানমন্ডি শাখা বন্ধ হচ্ছে না। পাশাপাশি স্থায়ী ক্যাম্পাস করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

আন্দোলনরত ছাত্রীদের ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নিতে এসে ব্যর্থ হন ধানমন্ডি দিবা শাখার প্রধান পারভীন আক্তার। তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাস ছেড়ে দেয়ার আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে কয়েকজন শিক্ষককে মোবাইল ফোনে পছন্দের ক্যাম্পাসে বদলির জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে। এই বিষয়টি ছড়িয়ে যাওয়ায় ছাত্রীরা আন্দোলনে নেমেছে।

ক্যাম্পাস ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি গুজব কি না জানতে চাইলে শাখাপ্রধান বলেন, ‘কোনটা সত্য, কোনটা মিথ্যা সেটি তদন্ত করে বলতে হবে। তবে ইতোমধ্যে কিছু শিক্ষক বদলি হয়েছেন।’

বেলা সাড়ে ১১টা থেকে রাস্তা বন্ধ থাকায় রাস্তার দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। দাবি মানার আশ্বাসের পর প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পর রাস্তা ছাড়ে ছাত্রীরা।

রমনা বিভাগের ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এহসানুল ফেরদাউস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সোয়া ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ছাত্রীরা রাস্তা অবরোধ করে রেখেছিল। এই সময়ে জানমালের ক্ষতির কোনো খবর পাইনি।’

এ বিভাগের আরো খবর