সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী প্রজন্ম গড়ে তুলতে দেশের ৩০০ স্কুলে দ্রুতই চালু করা হচ্ছে জাপানের কুমন মেথড শিক্ষা কার্যক্রম। পর্যায়ক্রমে ১৩ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাবেও এই শিক্ষাব্যবস্থা যুক্ত করা হবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহ্মেদ পলক শনিবার এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
সাভারের খাগান এলাকায় ব্র্যাক সিডিএম সেন্টারে কুমন ম্যাথডের শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক ও কুমনের চেয়ারপারসন আসিফ সালেহ এবং কুমনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দা সারওয়াত আবেদ।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ও ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালকরা জাপানিজ কুমন শিক্ষা পদ্ধতির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় এই পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেন তারা।
প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহ্মেদ পলক তার বক্তব্যে বলেন, ‘আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের হাত ধরে ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার একটা আধুনিক রূপ- বুদ্ধিদীপ্ত, সাশ্রয়ী, জ্ঞানভিত্তিক, উদ্ভাবনী, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। এ জন্য আমাদের দরকার স্মার্ট জেনারেশন। ‘সৃজনশীল ও উদ্ভাবনী প্রজন্ম গড়ে তুলতে আমরা এই কুমন পদ্ধতি শিক্ষা কার্যক্রম আনন্দময় শিক্ষা হিসেবে বাংলাদেশের ৩০০টি স্কুলে শুরু করতে চাই। পর্যায়ক্রমে আমাদের ১৩ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাবেও তা যুক্ত করতে চাই।’
পলক বলেন, ‘জাপান-বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ৫০ বছরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আমরা বাংলাদেশে ৩০০টি স্কুল অফ ফিউচার প্রতিষ্ঠা করছি। এর প্রতিটিতে পাঁচটি করে স্মার্ট প্লাস থাকছে। পাশাপাশি কম্পিউটার, ট্যাব, ভার্চুয়াল রিয়ালিটি গিয়ার, রোবটিকস, লেগো- এ ধরনের মজার মজার ইকুইপমেন্ট ও ফ্যাসিলিটিস থাকবে। ১৮ অক্টোবরের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করলে ব্র্যাক-কুমনের সঙ্গে বসে বাংলাদেশের ৩০০টি স্কুল অফ ফিউচারে আমরা কুমন আফটার স্কুল প্রোগ্রামটি আগামী বছরের জানুয়ারিতে শুরু করতে পারব।’
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ব্র্যাকের তত্ত্বাবধানে রাজধানীর পাঁচটি সেন্টারে এ পর্যন্ত ২৫০০ শিক্ষার্থীকে কুমন মেথড পদ্ধতির আওতায় আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে মেধাবী ৩৩০ শিক্ষার্থীকে তিন ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত করে ব্র্যাক ও কুমন।