বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) বাস্তবায়নে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) মূল্যায়নে দেশের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। বিগত অর্থবছরে এক্ষেত্রে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল নবম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফিরোজ আলম নিউজবাংলাকে মঙ্গলবার এ তথ্য জানান।
ইউজিসির সচিব অধ্যাপক ড. ফেরদৌস জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এপিএ বাস্তবায়নের জন্য শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা, ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন, অভিযোগ ও প্রতিকার ব্যবস্থা, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি সিটিজেন চার্টার এবং তথ্য অধিকার বিষয়ক পৃথক ছয়টি ফোকাল পয়েন্ট রয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও ইউজিসি নির্ধারিত এপিএর আওতায় সর্বমোট স্কোর ১০০-এর মধ্যে ৯৯ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট পেয়ে এবারও র্যাংকিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এপিএ মূল্যায়নে ৯৪ দশমিক ৪৮ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। আর ৯৩ দশমিক ৭৫ পয়েন্ট লাভ করে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে জবি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত মূল কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এবং সদস্য সচিব হচ্ছেন রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান।
এই অর্জনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকে ধন্যবাদ জানান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক। ভবিষ্যতে শীর্ষ স্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান নিশ্চিত করতে সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
একটি প্রতিষ্ঠানে বা সংস্থায় সেবা প্রদানে গতিশীলতা আনয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সরকার ২০১৪-১৫ সালে দেশে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সংক্ষেপে এপিএ চালু করে। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার উন্নয়ন, সব স্তরের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা নিরূপণ এবং সরকার ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০ ও রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়ন অনেকটা সহজ হয়।