মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানগুলোতে আসা অনুদান ইঁদুর খেয়ে ফেলছে বলে অভিযোগ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম শাহনাওয়াজ।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে রোববার বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম (বাবেশিকফো) আয়োজিত ‘এমপিওভুক্ত শিক্ষায় বৈষম্য দূরীকরণ ও শিক্ষার মানোন্নয়নের একমাত্র উপায় জাতীয়করণ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
আলোচনায় একাধিক বক্তার বক্তব্যের বিষয়ে শাহনাওয়াজ বলেন, ‘আপনারা শিক্ষকরা একটু আগে ইঙ্গিত দিলেন আপনাদের গভর্নিং বডি নিয়ে। আমি জানি সেগুলো। এই গভর্নিং বডির পেছনে দাঁড়িয়ে আছেন যারা, যাদের অঙ্গুলি হেলনে এই কমিটিগুলো হয়...আপনাদের যে অনুদান আসে স্কুল-কলেজে, সেটা তো মাঝখানে ইঁদুরে খেয়ে ফেলছে। এই ইঁদুরে খেয়ে ফেলাটাও একটি পরিকল্পনার অংশ বলে আমি মনে করি।’
বাংলাদেশের সরকার শিক্ষাবান্ধব নয় অভিযোগ করে জাবির এ শিক্ষক বলেন, ‘সাড়ে ১২ হাজার টাকা বেতন দেয়। আর ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া দেয়। এতে এখন মুরগির খোঁয়াড়ও ভাড়া পাওয়া যায় না। শিক্ষককে ভিক্ষুক মনে করা হয় কেন? আমাদের সরকার মোটেই শিক্ষাবান্ধব নয়। বক্তৃতায় উনারা যা-ই বলুন।’
তিনি বলেন, ‘আগেও আমরা দেখছি, শিক্ষকরা দিনের পর দিন এই দাবিতে পথে আন্দোলন করেছে, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। এটাই দুঃখজনক।’
আলোচনায় লিখিত বক্তব্যে বাবেশিকফোর সভাপতি অধ্যক্ষ মো. মাইন উদ্দিন বলেন, এন্ট্রি লেভেলের শিক্ষক নিয়োগে এনটিআরসিএ সুপারিশ করলেও এ নিয়ে উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ রয়েছে। এ অবস্থায় এমপিওভুক্তদের জাতীয়করণ জরুরি।
তিনি বলেন, ‘জাতীয়করণ করা হলে গ্রামের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী লাভবান হবে। মেধাবীরা এই পেশায় আরও এগিয়ে আসবে। প্রতিষ্ঠানের ফান্ড থেকেই এটি বাস্তবায়ন সম্ভব।’
মাইন আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের উন্নয়নে কাজ করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় এমপিও শিক্ষা জাতীয়করণ সময়ের দাবি।’