কুড়িগ্রামে এসএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় গ্রেপ্তার ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বরখাস্ত আরও দুই শিক্ষককে দুই দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
রোববার সকালে কুড়িগ্রামের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক সুমন আলী এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের সহকারি আইনজীবী দিলরুবা আহমেদ শিখা নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামিরা হলেন ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক জোবাইর রহমান ও ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুর রহমান রাসেল। এর আগে গত বুধবার মামলার প্রধান আসামি একই বিদ্যালয়ের বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমানকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছিল আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি আজাহার আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুই আসামির তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলেও শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত তাদের দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে।
‘প্রধান আসামি লুৎফর রহমান তিন দিনের রিমান্ডে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। সেগুলো যাচাই বাছাই করে দেখা হচ্ছে।’
আইনজীবী দিলরুবা আহমেদ বলেন, ‘আসামিরা প্রশ্ন ফাঁস করে দেশ ও জাতির ক্ষতি করেছেন। তাদের সব্বোর্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
২০ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দিনাজপুর বোর্ডের ইংরেজি প্রথম পত্র ও দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠে। এরপর ওই কেন্দ্রের সচিব লুৎফর রহমান জিজ্ঞাসাবাদে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথা স্বীকার করেন। একই সঙ্গে তার কাছে কয়েকদিনের আগাম প্রশ্নপত্র রয়েছে বলে জানান।
এদিন মধ্যরাতে ট্যাগ অফিসার ও কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালিক চৌধুরী মামলা করেন।
গ্রেপ্তার হন লুৎফর রহমান, ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুর রহমান, ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক জোবাইর রহমান, কৃষি বিজ্ঞানের শিক্ষক হামিদুল ইসলাম, বাংলা বিষয়ের শিক্ষক সোহের চৌধুরী ও অফিস সহায়ক সুজন মিয়া। এই ঘটনার পর ওই বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. আবু হানিফ পলাতক রয়েছেন।
এদের সবাইকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার দুই দিন পর কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বরখাস্ত হন।