কুড়িগ্রামে এসএসসির প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় প্রধান আসামি ভূরুঙ্গামারী নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বরখাস্ত প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব লুৎফর রহমানকে তিন দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া অন্য আসামিদের জামিন আবেদন বাতিল করে কারগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় কুড়িগ্রামের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক সুমন আলী এ আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের সহকারি আইনজীবী দিলরুবা আহমেদ শিখা নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার ছয় আসামির জামিন এবং অপর দিকে পুলিশ মূল হোতা প্রধান শিক্ষকের তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। উভয় বিষয়ে শুনানির তারিখ ছিল বৃহস্পতিবার।
ভূরুঙ্গামারী থানার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আজাহার আলী (ওসি-তদন্ত) নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শুনানি শেষে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে আরও কারা জড়িত, তাদের তথ্য উদঘাটন করে আইনের আওতায় আনা হবে।
‘এ ছাড়া নতুন করে শিক্ষক আমিনুর রহমান রাসেল এবং জোবাইর হোসেনের তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক আগামী ২ অক্টোবর শুনানির দিন ধার্য করেন। মামলার এজাহারনামীয় আসামি নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহায়ক আবু হানিফ পলাতক রয়েছে। তাকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
আইনজীবী দিলরুবা আহমেদ বলেন, ‘আসামিরা প্রশ্ন ফাঁস করে দেশ ও জাতির ক্ষতি করেছেন। এই ঘটনার নেপথ্যে যারা রয়েছেন, তাদের খুঁজে বের করতে গ্রেপ্তারদের রিমান্ডের প্রয়োজন ছিল। আসামি পক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করেন।’
২০ সেপ্টেম্বর কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে দিনাজপুর বোর্ডের ইংরেজি প্রথম পত্র ও দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠে। এরপর ওই কেন্দ্রের সচিব লুৎফর রহমান জিজ্ঞাসাবাদে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথা স্বীকার করেন। একই সঙ্গে তার কাছে কয়েকদিনের আগাম প্রশ্নপত্র রয়েছে বলে জানান।
এদিন মধ্যরাতে ট্যাগ অফিসার ও কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আদম মালিক চৌধুরী মামলা করেন।
গ্রেপ্তার হন, লুৎফর রহমান, ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক আমিনুর রহমান, ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক জোবাইর রহমান, কৃষি বিজ্ঞানের শিক্ষক হামিদুল ইসলাম, বাংলা বিষয়ের শিক্ষক সোহের চৌধুরী ও অফিস সহায়ক সুজন মিয়া। এই ঘটনার পর ওই বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. আবু হানিফ পলাতক রয়েছেন।
এদের সবাইকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটি।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার ২ দিন পর কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বরখাস্ত হন।