বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রিজভীর রুচির পরিচয় পেয়েছে ঢাবি শিক্ষক সমিতি

  •    
  • ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২১:২৪

‘তিনি (রিজভী) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্যকে চাকরবাকর হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন, যার মাধ্যমে তার নিজের রুচি ও সংস্কৃতির পরিচয় পাওয়া যায়।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আখতারুজ্জামান ও প্রক্টর এ কে এম গোলাম রাব্বানীকে আক্রমণ করে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী যে মন্তব্য করেছেন, তার নিন্দা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এই মন্তব্যে রিজভীর রুচির প্রকৃত পরিচয় পাওয়ার কথাও বলেছে তারা।

সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়, গত মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঘটে যাওয়া একটি অপ্রীতিকর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রিজভীর বক্তব্য অত্যন্ত অশালীন, আপত্তিকর ও নিন্দনীয়।

বুধবার সন্ধ্যায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভুঁইয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।

আগের দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হামলার পর রিজভী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আওয়ামী ভিসি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা প্রক্টরের প্ররোচনায় ছাত্রদলের ওপর নারকীয় হামলা হয়েছে। এখন এমন পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে যে শেখ হাসিনা তার চাকরবাকর ছাড়া উপাচার্য-প্রক্টর নিয়োগ করেন না। ছাত্রদলের ওপর হামলার ঘটনায় তারই প্রতিফলন দেখা গেল।’

জবাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি বলেছে, ‘তিনি (রিজভী) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্যকে চাকরবাকর হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন, যার মাধ্যমে তার নিজের রুচি ও সংস্কৃতির পরিচয় পাওয়া যায়।’

এতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য গত তিন দশকের বন্ধ্যত্ব কাটিয়ে ২০১৯ সালে সব ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে সক্ষম হয়েছেন। নিজেদের অপকর্মের দায়ভার নিয়ে বিতাড়িত ছাত্র সংগঠনকে ক্যাম্পাসে তাদের রাজনীতি চর্চার সুযোগ করে দিয়েছেন। অথচ বিএনপি নেতা রিজভী উপাচার্য ও প্রক্টরকে অশালীন ভাষায় হুমকি-ধমকি দিয়েছেন।’

শিক্ষক সমিতি বলেছে, ‘রুহুল কবির রিভজী যেভাবে হুমকি দিয়ে কথা বলেছেন, তা নিকট অতীতে ক্যাম্পাসে লাশ ফেলে রাজনীতির মাঠ গরম করার টেলিফোন সংলাপের কথা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসাও করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। এতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন মত-পথ এবং প্রগতিশীল রাজনৈতিক চিন্তা ও দর্শনের চর্চা কেন্দ্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকরাই বিভিন্ন সংকটে জাতিকে পথনির্দেশ করেছে। কিন্তু অতীতে কখনও কখনও বিভিন্ন অগণতান্ত্রিক সরকারের আবির্ভাবের ফলে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়েছে, সামরিক স্বৈরশাসকের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় ক্যাম্পাসে অছাত্র সন্ত্রাসীদের উপস্থিতি ও অস্ত্রের রাজনীতির সূচনা হয়েছিল। তাদের প্রত্যক্ষ মদদে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীকে জীবন দিতে হয়েছিল।

‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথমবার রাষ্ট্রক্ষমতায় এসে ছাত্র রাজনীতি ছাত্রদের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। বৈধ ও অবিবাহিত ছাত্রদের হাতে ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্ব তুলে দেয়ার জন্য সাংগঠনিক পদ পেতে ছাত্রদের বয়স নির্ধারণ ও বৈধ ছাত্রত্বের শর্ত জুড়ে দিয়েছিলেন। বর্তমান সরকারের আমলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহতভাবে চলমান আছে।’

এ বিভাগের আরো খবর