বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

উপাচার্যকে ‘স্যার’ সম্বোধন না করায়…

  •    
  • ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২০:৩৩

লাঞ্ছনার শিকার শিক্ষার্থী আরমানুল হক বলেন, ‘বিশ্বের টপ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের তাদের পদবি দিয়ে সম্বোধন করা হয়। কিন্তু আমাদের শিক্ষকরা কে স্যার ডাকল বা না ডাকল তা নিয়ে কেন ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্সে ভোগেন? একজন শিক্ষক যদি স্যার ডাকা না ডাকা নিয়ে এভাবে চিন্তা করেন তাহলে তা লজ্জার।’

‘এই বেটা তোর কথায় আসবে? তোমার কথায় আসবে? বেয়াদবির একটা সীমা আছে। ভিসি কে? ভিসি স্যার বল। এই, এর আইডি কার্ড সিজ করো।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে উদ্দেশ করে ধমক দিয়ে কথাগুলো বলেছেন সহকারী প্রক্টর ড. মো. মাহাবুবুল রহমান। তিনি ওই শিক্ষার্থীর দিকে তেড়েও যান। অবশ্য উপস্থিত অন্য শিক্ষার্থীরা এ সময় সামনে এসে দাঁড়ালে চুপসে যান তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বুধবার দুপুরে এমন ঘটনা ঘটে। প্রশাসনিক ভবনের সামনে হাসনাত আবদুল্লাহ যখন অনশন করছিলেন তখন ঘটনাস্থলে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মো. মাহাবুবুল রহমান।

তিনি সেখানে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার সময় আরমানুল হক নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আপনি এখানে এসে কথা বলার চাইতে আমরা চাইব ভিসি ও প্রক্টর এসে আমাদের সাথে কথা বলুন। কারণ আপনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় অংশ হোল্ড করেন না।’

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ওই শিক্ষার্থীর এ কথা শুনেই রেগে যান ড. মাহাবুবুল। তিনি ওই শিক্ষার্থীকে উদ্দেশ করে তুই-তুকারি শুরু করেন। একইসঙ্গে চলতে থাকে ধমক। এক পর্যায়ে পাশে থাকা প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘এর আইডি কার্ড সিজ করো।’

কর্তার এমন ‘নির্দেশনা’ পেয়ে প্রক্টরিয়াল টিমের দুই সদস্য ওই শিক্ষার্থীকে দু’পাশ থেকে ধরে ফেলেন। পরে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে ড. মাহাবুবুল শান্ত হন।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থী আরমানুল হক বলেন, ‘স্যার এসে হাসনাত ভাইয়ের অনশন ভাঙানোর ব্যাপারে বুঝানোর চেষ্টা করছিলেন। এরপর উঠে আমি স্যারকে বললাম- আপনি বিগার স্টেক হোল্ড করেন না। আপনি এখানকার বড় অংশীজন না। আপনি এখানে এসে কথা বলার চেয়ে আমরা বেশি চাইবো ভিসি ও প্রক্টর আসুন এখানে। ওনারা যদি আট দফা নিয়ে আশ্বাস দেন তাহলে ভাই অনশন ভাঙবেন।

'আমি ভিসি স্যার কেন বলিনি সেটার জন্য তিনি আমার ওপর রেগে গেছেন। আমার সাথে খারাপ আচরণ করেছেন এবং আমাকে প্রক্টরিয়াল টিমের মাধ্যমে হেনস্তা করেছেন।’

আরমান বলেন, ‘বিশ্বের টপ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের তাদের পদবি দিয়ে সম্বোধন করা হয়। কিন্তু আমাদের শিক্ষকরা কে স্যার ডাকলো বা না ডাকলো তা নিয়ে কেন ইনফিরিওরিটি কমপ্লেক্সে ভোগেন? একজন শিক্ষক যদি স্যার ডাকা না ডাকা নিয়ে এভাবে চিন্তা করেন তাহলে তা লজ্জার।’

এমন আচরণের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী প্রক্টর ড. মাহাবুবুল বলেন, ‘সন্তানকে কি একজন পিতা তুই-তুকারি করে বলতে পারে না? তুই সম্বোধন তো মানুষ আপনজনকেই করে।’

তিনি বলেন, ‘আজকে ডাক্তার বলেছে, আমাদের সন্তান হাসনাত খুব অসুস্থ। তাই আমি সেখানে গিয়েছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের সহযোগিতা করছে না। একজন ভিসি, প্রো-ভিসি, প্রক্টর বলছে। স্যারদের তো তারা সম্মান করবে! তারা তো আর বন্ধু না। আমরা যেখানে স্যার বলছি…। স্যার বলা তো অন্যায় কিছু না।’

এ বিভাগের আরো খবর