প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণেই দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের এসএসসির চারটি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক। তিনি বলেন, ‘প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। এ কারণেই পরীক্ষা স্থগিত হয়েছে।’
ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজে বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আয়োজনে ‘শিক্ষাক্ষেত্রে শুদ্ধাচার চর্চার প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
আগের প্রশ্নফাঁস ও এখনকার প্রশ্নফাঁসের মধ্যে পার্থক্য আছে জানিয়ে শিক্ষা সচিব বলেন, ‘বিষয়টিকে ভালোভাবে দেখার কোনো সুযোগ নেই। প্রশ্ন ফাঁস আগে যেভাবে হয়েছে, এবারের ধরনটা একটু ভিন্ন। কারণটা জানলে বুঝবেন আগের প্রশ্নফাঁস ও এখনকার প্রশ্নফাঁসের পার্থক্য আছে। এবারের প্রশ্নফাঁস কিন্তু ছড়িয়ে পড়েনি। ফেসবুক বা গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েনি।’
প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় অভিযুক্তদের আটক করা হয়েছে বলেও জানান শিক্ষা সচিব।
তিনি বলেন, ‘কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে যে প্রশ্ন ফাঁস হলো তা থানার লকার থেকে আনার সময় ফাঁস হয়েছে। মূলত সেখানকার কেন্দ্র সচিব এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। তিনি বিজ্ঞান বিভাগের বাড়তি কিছু প্রশ্ন নিয়ে নেন, যা পরে আমাদের নজরে আসে।’
তবে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়েনি বলে দাবি করেন সচিব। বলেন, ‘বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে নাকি ব্যক্তিগত কারও সহায়তার উদ্দেশ্যে নেয়া হয়েছে, তা তদন্তে জানা যাবে।’
এর আগে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. কামরুল ইসলাম সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে চারটি পরীক্ষা স্থগিতের কথা বলা হয়েছে। তবে সেটি যে প্রশ্নফাঁসের কারণেই করা হয়েছে, তা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়নি।
স্থগিত করা বিষয়গুলোর মধ্যে আছে গণিত, কৃষিবিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান এবং পদার্থবিজ্ঞান।
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় চলতি এসএসসি পরীক্ষার ইংরেজি প্রথম এবং দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে কেন্দ্র সচিবসহ তিন শিক্ষককে আটক করা হয়েছে।
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. কামরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আমরা একটা তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। রিপোর্ট পেলে পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘যেসব বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেসব বিষয়ে কোনো সমস্যা নেই।’