বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাবির প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমরণ অনশনে হাসনাত

  •    
  • ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৪:১০

উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘স্যার আমাদের যৌক্তিক আট দফা দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে কোনো কথাই বলেননি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রশাসনিক ভবনে হয়রানি বন্ধে আট দাবি নিয়ে অবস্থান কর্মসূচির পর এবার আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

মঙ্গলবার দুপুর দেড়টা থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী হাসনাতের এই কর্মসূচি শুরু হয়।

এর আগে বেলা পৌনে ১২টায় আট দাবি, গণস্বাক্ষরের কাগজ, জরিপ এবং নানা অভিযোগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো আখতারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করেন এই শিক্ষার্থী। পরে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেন তিনি।

উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘স্যার আমাদের যৌক্তিক আট দফা দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে কোনো কথাই বলেননি।’

তিনি বলেন, ‘ভিসি স্যার আমার সাথে অসহযোগিতা মূলক আচরণ করেছেন। আমি স্যারের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, স্যার আমি বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা সাংবাদিক ও চিক্ষার্থীদের কি বলবো?

‘উনি বলেছেন- আমি নাকি মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছি। বলেছেন, আমরা যা ইচ্ছে তা করতে। স্যারের এই অসহযোগিতামূলক আচরণের প্রতিবাদে ও আট দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন ঘোষণা করছি।’

এদিন সকালে তৃতীয় দিনের মতো প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন হাসনাত। রোববার সকাল ১০টা থেকে এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন তিনি। তার কর্মসূচি চলছিল প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত।

হাসনাত আবদুল্লাহর আট দাবি হলো-

১. শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের জবাবদিহি নিশ্চিতে শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অভিযোগ সেল গঠন।

২. প্রশাসনিক সব কার্যক্রম অনতিবিলম্বে ডিজিটালাইজ করা।

৩. নিরাপত্তা এবং হারিয়ে যাওয়া কাগজপত্র তদন্তের স্বার্থে প্রতিকক্ষে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন।

৪. প্রশাসনিক ভবনে অফিসগুলোর প্রবেশদ্বারে ডিজিটাল ডিসপ্লে স্থাপন।

৫. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত এবং প্রশাসনিক ভবনের ক্যান্টিনের সংস্কার।

৬. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আধুনিক সাচিবিক বিদ্যা, পেশাদারত্ব, মানসিক ও আচরণগত প্রশিক্ষণ আইন করে বাধ্যতামূলক করা।

৭. অফিস চলাকালীন প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত, ব্যাবসায়িক কিংবা রাজনৈতিক কোনো কাজেই লিপ্ত না থাকা।

৮. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনকালীন প্রচার পরিবেশবান্ধব করা।

এসব দাবির পক্ষে হাসনাত ছয় শতাধিক শিক্ষার্থীর গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সেখানে একটি অভিযোগ বক্স স্থাপন করেছেন। যাদের রেজিস্ট্রার বিল্ডিং নিয়ে অভিযোগ আছে তারা সেখানে অভিযোগ লিখে জমা দিয়েছেন।

এ বিভাগের আরো খবর