ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রশাসনিক ভবনে হয়রানি বন্ধের জন্য দেয়া আট দাবি পূরণের আশ্বাস না পাওয়ায় তৃতীয় দিনের মতো প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
রোববার সকাল ১০টা থেকে এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন তিনি। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন ঢাবির এই শিক্ষার্থী।
দাবি পূরণে আশ্বাস না আসা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া হাসনাত আবদুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী।
হাসনাত আবদুল্লাহর আট দাবি হলো-
১. শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের জবাবদিহি নিশ্চিতে শিক্ষক ও ছাত্র প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অভিযোগ সেল গঠন।
২. প্রশাসনিক সব কার্যক্রম অনতিবিলম্বে ডিজিটালাইজ করা।
৩. নিরাপত্তা এবং হারিয়ে যাওয়া কাগজপত্র তদন্তের স্বার্থে প্রতিকক্ষে পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন।
৪. প্রশাসনিক ভবনে অফিসগুলোর প্রবেশদ্বারে ডিজিটাল ডিসপ্লে স্থাপন।
৫. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্যকর ও সুন্দর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত এবং প্রশাসনিক ভবনের ক্যান্টিনের সংস্কার।
৬. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আধুনিক সাচিবিক বিদ্যা, পেশাদারত্ব, মানসিক ও আচরণগত প্রশিক্ষণ আইন করে বাধ্যতামূলক করা।
৭. অফিস চলাকালীন প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত, ব্যাবসায়িক কিংবা রাজনৈতিক কোনো কাজেই লিপ্ত না থাকা।
৮. কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্বাচনকালীন প্রচার পরিবেশবান্ধব করা।
এসব দাবির পক্ষে হাসনাত রোববার অবস্থাকালীন গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সেখানে একটি অভিযোগ বক্স স্থাপন করেছেন। যাদের রেজিস্ট্রার বিল্ডিং নিয়ে অভিযোগ আছে তারা সেখানে অভিযোগ লিখে জমা দিয়েছেন।
হাসনাত বলেন, 'এই কর্মসূচিতে আমি ছয় শতাধিক শিক্ষার্থীর স্বাক্ষর পেয়েছি। গণস্বাক্ষরের কাগজ, আগে পরিচালিত জরিপ এবং সবার অভিযোগ নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান স্যারের সঙ্গে দেখা করতে যাব।'
তিনি বলেন, 'স্যার যদি আমাদের যৌক্তিক আট দফা দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন, তাহলে আরো কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।'