বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জবির ছাত্রী হলে ধীরগতির ইন্টারনেটে দুর্ভোগ

  •    
  • ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০৯:২৯

শারমিন ইভা বলেন, ‘আমরা পড়তে গিয়ে প্রতিনিয়ত ইন্টারনেটের চরম অভাববোধ করি। আমাদের পড়াশোনার বেশিরভাগই অনলাইনের সাথে সম্পর্কিত। তাই উন্নত ইন্টারনেট সংযোগসহ ওয়াইফাই এর গতি বৃদ্ধি করতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছাত্রী হলে ইন্টারনেটের গতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। ধীরগতির ইন্টারনেটের কারণে পড়ালেখার কাজে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।

এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্বায়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের পরিসর বাড়াতে ২০১২ সালে পুরো ক্যাম্পাসকে ওয়াইফাই ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় নিয়ে আসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু সংযোগ দেয়ার ১০ বছর পরও সুফল পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা।

২০১৮ সালে নতুন করে বিডিরেন নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ইন্টারনেট সংযোগ নেয় জবি প্রশাসন। সেসময় পুরো ক্যাম্পাসকে শক্তিশালী ইন্টারনেট ব্যবস্থার আওতাভুক্ত করে ৭০০ এমবিপিএস গতির ওয়াইফাই চালু করা হয়। কিন্তু ছাত্রীদের অভিযোগ, আলাদা সার্ভার না বসিয়ে ক্যাম্পাসের ওয়াইফাই দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে।

চলতি বছরের ৩ আগস্ট বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে সপ্তাহে প্রতি মঙ্গলবার অনলাইনে ক্লাস নিতে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কাউন্সিলে প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রশাসন।

একমাত্র আবাসিক ছাত্রীহলের ইন্টারনেট সেবার মান বৃদ্ধি না করায় শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাস করতে পারছে না। তাই বাধ্য হয়ে তাদের নিজ নিজ মোবাইল ডাটার উপর নির্ভর হতে হচ্ছে।

হলের ছাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, ইন্টারনেট গতি ধীর হওয়ায় প্রায়ই প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ঢুকতে অতিরিক্ত সময় লাগে। ছোটোখাটো ফাইল ডাউনলোডেও অনেক সময় লাগে। ইন্টারনেট ব্যবহারের সময় বারবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়াটা যেন খুব সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে হলের এক আবাসিক ছাত্রী বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা অনেকটা অনলাইন ভিত্তিক হলেও সে অনুযায়ী আমরা ইন্টারনেট সেবা পাচ্ছি না। কোনো শিক্ষামূলক ভিডিও দেখতে গেলে বা জার্নাল পড়তে গেলে ধীরগতির ইন্টারনেটের কারণে সেটা অন হতে অনেক সময় লেগে যায়৷

‘আমাদের হলে নামমাত্র ওয়াইফাই ব্যবস্থা চালু আছে। এমন ধীরগতির ইন্টারনেটে বরং ভোগান্তিই বেশি হয়।’

সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী উম্মে ফিয়া বলেন, ‘প্রথম দিকে ওয়াইফাই কাজ করলেও এখন ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকার পরও আমরা ঠিকঠাক নেটওয়ার্ক পাচ্ছি না। অনলাইনে ক্লাস শুরু হয়েছে বেশ অনেকদিন আগে। কিন্তু আমাদের ওয়াইফাই সংযোগ থাকা সত্ত্বেও ইন্টারনেট কিনে ক্লাস করতে হচ্ছে যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।’

হলের আরেক আবাসিক ছাত্রী শারমিন ইভা বলেন, ‘আমরা পড়তে গিয়ে প্রতিনিয়ত ইন্টারনেটের চরম অভাববোধ করি। আমাদের পড়াশোনার বেশিরভাগই অনলাইনের সাথে সম্পর্কিত। তাই উন্নত ইন্টারনেট সংযোগসহ ওয়াইফাই এর গতি বৃদ্ধি করতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. উজ্জ্বল কুমার আচার্য্য বলেন, ‘বিডিরেনের সঙ্গে আমাদের চুক্তির দীর্ঘদিন হওয়ার কারণে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি যেমন হার্ডওয়্যার এসব জিনিসপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে এখন স্বাভাবিকের তুলনায় কম গতি পাওয়া যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে খুব শীঘ্রই আবার নতুনভাবে চুক্তিবদ্ধ হলে এসব জিনিস চেঞ্জ করে দিবে। তাহলে আশা করি সমস্যাগুলো সমাধান হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর