বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ক্যাম্পাস পরিষ্কার করলেন জবি শিক্ষার্থীরা

  •    
  • ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৯:১৪

‘ক্লিন ক্যাম্পাস, গ্রিন ক্যাম্পাস’ স্লোগানকে সামনে রেখে ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে পুরো ক্যাম্পাসে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্বতস্ফূর্তভাবে এ কার্যক্রমে অংশ নেয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দিতে ‘ক্লিন ক্যাম্পাস ক্যাম্পেইন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‘ক্লিন ক্যাম্পাস, গ্রিন ক্যাম্পাস’ স্লোগানকে সামনে রেখে ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে পুরো ক্যাম্পাসে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্বতস্ফূর্তভাবে এ কার্যক্রমে অংশ নেয়।

পরিবেশ উন্নয়ন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কমিটির আয়োজনে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের সামনে এই ক্যাম্পেইন শেষ হয়।

অনুষ্ঠানে পরিবেশ উন্নয়ন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কমিটির আহ্বায়ক, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক।

বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ। এ ছাড়া প্রক্টর, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও উপস্থিত ছিলেন।

কোষাধ্যক্ষ কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘আগে যেখানে-সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা হতো। এখন ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় ডাস্টবিন রাখা হয়েছে। সকলেই এখন কাগজপত্র ও ময়লা আবর্জনা এদিক-সেদিক না ফেলে ডাস্টবিনে ফেলবে। বিভিন্ন ফ্যাকাল্টিতেও ডাস্টবিন ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় গেটটি একেবারে অপরিষ্কার ছিল, টয়লেট ছিল বলা যায়। এখন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কমিটির চেষ্টায় সেটি তার আসল রূপ ফিরে পেয়েছে।’

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘আমাদের ছোট জায়গা, কিন্তু ছোট জায়গাটিও যদি পরিষ্কার করে রাখা যায়, তাহলে আসলেই দেখতে সুন্দর হয়। এখানে সবার কাজ বলে কিছু নাই, কাউকে না কাউকে দায়িত্ব দিতে হয়। সেরকম এই কমিটিও।

‘এই কমিটির স্বাধীনতা আছে, তারা নিজেরা কমিটির সদস্য করে এই ক্যাম্পাসকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে তুলেছে।’

সমাপনী বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ক্যাম্পাসে ছোট ছোট ডাস্টবিন বসানো হয়েছে, এগুলো আসলে আমার নিজের ডিজাইন করা। এসব ডাস্টবিন থেকে ময়লা হাত দিয়ে তুলতে হবে না। সরাসরি ময়লার ট্রলিতে নিয়ে যাওয়া যাবে।’

উপাচার্য আরও বলেন, ‘ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্ন রাখতে ভলান্টিয়ারিং কাজ করতে কারা ইচ্ছুক তাদের ফরম দিয়ে কাজ করাতে হবে, এতে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সার্টিফিকেট দেয়ার ব্যবস্থা করব।’

পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশ নেয়া শিক্ষার্থী শ্রেয়সী শিকদার বলেন, ‘ক্যাম্পাস আমাদের। তাই আমাদের উচিত নিজ উদ্যোগে এই ক্যাম্পাসকে সুন্দর রাখা। শুধু পরিষ্কার করা নয়, আমাদের মানসিকতা থাকবে যে আমরা যত্রতত্র ময়লা বা উচ্ছিষ্ট ফেলে ক্যাম্পাসকে অপরিস্কার করব না।’

আরেক শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে ক্যাম্পাসকে পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের দায়িত্ব। আমরা এই ক্যাম্পাসে পড়ালেখা করছি, ক্যাম্পাস থেকে অনেক কিছু অর্জন করছি। কিন্তু আমাদের ফেলা যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা পড়ে ক্যাম্পাসের পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। সেই জায়গা থেকেই আমরা নিজেদের ক্যাম্পাস পরিষ্কার রাখার জন্য এই কার্যক্রমে অংশ নিয়েছি।’

৩ দিনব্যাপী ‘ক্লিন ক্যাম্পাস ক্যাম্পেইন’ উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক। এ ক্যাম্পেইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন।

এ বিভাগের আরো খবর