বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কওমি মাদ্রাসায় ঢুকল সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট

  •    
  • ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৯:৩১

বাংলাদেশে কওমি ঘরানায় সমাজতান্ত্রিক যেকোনো সংগঠনকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করা হয়। তাদের দৃষ্টিতে এই সংগঠনগুলো ধর্মবিরোধী। কাজেই তাদের থেকে দূরে থাকা শ্রেয়। সেই কওমি ঘরানায় ছাত্র ফ্রন্ট কবে, কীভাবে শাখা খুলল এ নিয়ে তৈরি হয়েছে আলোচনা।

বামপন্থি ছাত্র সংগঠন ‘সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কওমি মাদ্রাসা শাখা’ ব্যানারে বেশ কয়েকজন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, ১০-১২ জন মাদ্রাসা শিক্ষার্থী লাল পতাকা এবং একটা ব্যানার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

তাদের একজনের হাতে ‘শিক্ষার আর্থিক দায়িত্ব রাষ্ট্রকেই নিতে হবে’ লেখাসংবলিত একটা প্ল্যাকার্ড। আর সামনে থাকা ব্যানারে লেখা ‘মহান শিক্ষা দিবস। ছাত্র রাজনীতির আদর্শবাদী বিপ্লবী ধারাকে শক্তিশালী কর, শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ ও সাম্প্রদায়িকীকরণ রুখে দাঁড়াও।’

নিচে লেখা ‘সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কওমি মাদ্রাসা শাখা।’

বাংলাদেশে কওমি ঘরানায় সমাজতান্ত্রিক যেকোনো সংগঠনকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করা হয়। তাদের দৃষ্টিতে এই সংগঠনগুলো ধর্মবিরোধী। কাজেই তাদের থেকে দূরে থাকা শ্রেয়। সেই কওমি ঘরানায় ছাত্র ফ্রন্ট কবে, কীভাবে শাখা খুলল এ নিয়ে তৈরি হয়েছে আলোচনা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের দুটি কমিটি। একটির মূল সংগঠন হলো বাসদ, আরেকটির মূল সংগঠন বাসদ মার্ক্সবাদী। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (বাসদ মার্ক্সবাদী) কওমি মাদ্রাসায় কোনো কমিটি বা কার্যক্রম নেই। তবে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (বাসদ) ২০১৭ সাল থেকে কওমি মাদ্রাসায় কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। তবে কোনো কমিটি নেই।

ছাত্র ফ্রন্টের এই অংশের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শোভন রহমান নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

অন্য একটি অংশের (বাসদ মার্ক্সবাদী) সাধারণ সম্পাদক রাশেদ শাহরিয়ার বলেন, ‘এই ছবিটা আমাদের না। ছাত্র ফ্রন্টের দুইটা কমিটি। এটা আরেকটা (বাসদ) কমিটির। তারাই সেখানে কার্যক্রম চালায়।’

ছাত্র ফ্রন্টের সেই অংশের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক শোভন রহমান বলেন, ‘দিনাজপুরে তিনটা মাদ্রাসায় আমাদের কাজ আছে। তবে কোনো কমিটি নেই। দিনাজপুর জেলা ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি হাসনাত এবং সাধারণ সম্পাদক মুক্তা আক্তার মিম তাদের তত্ত্বাবধান করেন। বিচ্ছিন্নভাবে ঢাকার কয়েকটা মাদ্রাসায় আমাদের কার্যক্রম চলে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, যারা এখানে পড়াশোনা করে তারা সমাজের সবচেয়ে অবহেলিত মানুষজন, যাদের অন্য কোথাও পড়াশোনার সুযোগ নেই। আমরা দাবি করি, শিক্ষাব্যবস্থাটা এক ধারায় চালিত হোক। কিন্তু বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাটা এখন বহুধারায় বিভক্ত। সুতরাং একদিকে আমাদের যেমন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করে যেতে হবে, তেমনি অন্য ধারার শিক্ষাব্যবস্থায়ও আমাদের কাজ করতে হবে। তাদের ঐক্যবদ্ধ করতে হবে এক ধারার শিক্ষাব্যবস্থার দাবিতে। ভাইরাল হওয়া ব্যানারেও সে রকম লেখা আছে যে আমরা এক ধারার শিক্ষাব্যবস্থা চাই।‘

কওমি মাদ্রাসায় কাজের ধারার সঙ্গে সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাজের ধারায় কোনো পার্থক্য নেই বলেও জানান এই ছাত্র ফ্রন্ট নেতা। জানান, তাদের এই কার্যক্রমের আওতা আরও বাড়ানোর চেষ্টাও চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর