বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বড় বিনিয়োগের সুযোগ করে দিয়েছে পদ্মা সেতু: প্যাট্রিক

  •    
  • ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২১:২২

‘বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে আমূল পরিবর্তন এসেছে। সরকার পদ্মা সেতু সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে করেছে, যা প্রশংসনীয়। এ সেতুর ফলে মানুষের কর্মকাণ্ড ও সুযোগ-সুবিধা বাড়বে। কয়েক বছরের মধ্যে অর্থনীতিতে পদ্মা সেতুর সুফল দেখা যাবে।’

‘বাংলাদেশ সরকার পদ্মা সেতু সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে করেছে। এ সেতু বড় বিনিয়োগের সুযোগ করে দিয়েছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ সেতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ (সিইউবি) আয়োজিত ‘অবকাঠামো উন্নয়ন ও এর কারিগরি দিক’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে এ কথা বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ভার্চুয়াল ডিন প্যাট্রিক ট্যাংগনে।

রাজধানীর প্রগতি সরণিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে শনিবার এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এইচ এস জহিরুল হক।

প্যাট্রিক ট্যাংগনে অবকাঠামো উন্নয়ন ও এর নানা কারিগরি দিক শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন এবং অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্নের জবাব দেন।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতে আমূল পরিবর্তন এসেছে। সম্প্রতি পদ্মা সেতু চালু করা হয়েছে। সাধারণত এ ধরনের বড় কোনো উন্নয়ন কাজ করতে টাকা ধার করা হয়। পরে সেই টাকা করসহ পরিশোধ করতে হয়।

‘বাংলাদেশ সরকার পদ্মা সেতু সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে করেছে। এটা প্রশংসনীয়। এ সেতুর ফলে মানুষের কর্মকাণ্ড ও সুযোগ-সুবিধা বাড়বে। এক এলাকা থেকে অন্যত্র যাতায়াত সহজ হবে। বড় বিনিয়োগের সুযোগ করে দিয়েছে পদ্মা সেতু। অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ সেতু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কয়েক বছরের মধ্যে অর্থনীতিতে পদ্মা সেতুর সুফল দেখা যাবে। অবকাঠামোগত উন্নয়নে এটি একটি বড় দৃষ্টান্ত।’

প্যাট্রিক তা বক্তব্যে বিভিন্ন দেশের যোগাযোগ খাতের চিত্র তুলে ধরেন। বিশেষ করে চীন তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করে কীভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তার বিশ্লেষণ করেন।

তিনি বলেন, ‘অবকাঠামো উন্নয়ন বৃহত্তর উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। অবকাঠামো বলতে যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, এনার্জি, মোবাইল টাওয়ার, নেটওয়ার্ক, ফাইবার অপটিক সবকিছুই বোঝায়। বিভিন্ন এলাকার মধ্যে সহজে যোগাযোগ করার পথ খোঁজা হয়। এজন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন জরুরি। অর্থনৈতিক উন্নয়নে যোগাযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়নের বিকল্প নেই।’

‘বর্তমান গ্লোবাল অর্থনীতিতে মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এসব প্রযুক্তির মাধ্যমে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ স্থাপন করা যায়।’

এক প্রশ্নের জবাবে প্যাট্রিক বলেন, ‘বাংলাদেশে ব্যালান্স অফ পেমেন্ট সবসময় সারপ্লাস থাকে। অবশ্য বর্তমানে তা কিছুটা ইমব্যালান্সড। কারণ আমদানির চেয়ে রপ্তানি কম।

‘টাকার বিপরীতে ডলারের উচ্চ মূল্যের কারণে এটা হয়েছে। কারণ আমদানি বেশি করতে হচ্ছে। এবং সেটা ডলারে পরিশোধ করতে হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ সরকার আমদানি কমাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকার এ বিষয়ে অনেক সচেতন।’

সেমিনারে সমাপনী বক্তব্য দেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক আকতার হোসেন।

সেমিনারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস অফ এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক আনুশা চৌধুরী। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক ও সব শিক্ষার্থীরা এতে উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর