বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘পরীক্ষা কেন্দ্র পরিবর্তন বড় ধরনের ঝামেলার ছিল’

  •    
  • ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৮:৩৪

আবু বকর ছিদ্দীক বলেন, ‘আমাদের একটি পরীক্ষা কেন্দ্র আছে বান্দরবানের ঘুমধুমে। সেখানে গতকাল সমস্যা হয়েছিল, আমাদের লোকজন মারা গিয়েছে। গতকাল রাত ৯টার সময় কেন্দ্রটি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওটা হলো বান্দরবান জেলায়, পরিবর্তন করা হয়েছে উখিয়ার কুতুপালংয়ে। জেলা কিন্তু দুইটা, উপজেলাও দুইটা।’

সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মর্টার শেলে ছোড়ার ঘটনায় বান্দরবানের ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র কক্সবাজারে স্থানান্তর করা বড় ধরনের ঝামেলার ছিল বলে জানিয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীক।

তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি পরীক্ষা কেন্দ্র আছে বান্দরবানের ঘুমধুমে। সেখানে গতকাল সমস্যা হয়েছিল, আমাদের লোকজন মারা গিয়েছে। গতকাল রাত ৯টার সময় কেন্দ্রটি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওটা হলো বান্দরবান জেলায়, পরিবর্তন করা হয়েছে উখিয়ার কুতুপালংয়ে। জেলা কিন্তু ২টা, উপজেলাও ২টা।

'ছাত্রছাত্রীরা সবাই মিলে ৪০০ জনের বেশি, তাদের বাসে করে নিয়ে যাওয়া, পরীক্ষার সাজসরঞ্জাম কেন্দ্রে আগে থেকে নিয়ে রাখা, সবকিছু মিলিয়ে একটি বড় ধরনের ঝামেলা ছিল।’

শনিবার দুপুরে চট্টগ্রামে পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শরৎকালীন নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২ লাখ ৮৩ হাজার টাকা বৃত্তি প্রদান করা হয়।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু কোনারপাড়া সীমান্তে শুক্রবার রাতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ছোড়া চারটি মর্টার শেল এসে পড়ে। এতে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক যুবক নিহত হন। আহত হন রোহিঙ্গা শিশুসহ পাঁচজন। এরপর সেখানে চলমান এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র সরিয়ে নেয়ার কথা জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

নবীণবরণ অনুষ্ঠানে আবু বকর ছিদ্দীক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে যাওয়ার সময় সফলতা ও ব্যর্থতার প্রশ্ন আসে। পড়াশোনা শেষে পাঁচ-সাত বছর পর কোথায় যাবে শিক্ষার্থীদের মাথায় রাখতে হবে। এখনই ভাবতে হবে কোথায় যাবে, না ভেবে শুধু পড়ালেখা করলে কাজ হবে না।

‘আমরা জানি কর্মজীবন একটি বড় বিষয়। শিক্ষার একটি বড় উদ্দেশ্য হলো সুন্দর জীবনের অধিকারী হওয়া। আমি তোমাদের সুন্দর জীবন প্রত্যাশা করছি।’

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারের পরিপূরক হিসেবে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন সরকারের আর্থিক ক্ষমতা সীমিত। দেশের সব ছেলেমেয়েকে বিনা পয়সায় লেখাপড়া করানো সম্ভব হয় না। সেখানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিপূরক হিসেবে কাজ করছে।’

তিনি জানান, বর্তমানে ৫০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩ লাখ ৪০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। দেশে ১০৮টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রায় একই পরিমাণ ৩ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থী আছে। এটা পরিপূরক হিসেবে কাজ করছে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু সমস্যার কথা জানিয়ে আবু বকর বলেন, ‘দেশে ৪৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নাই। একটা নৌকা মাঝি ছাড়া চলে না। একটা বিশ্ববিদ্যালয় কীভাবে ভাইস চ্যান্সেলর ছাড়া চলবে? সব প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ভালো চলছে, তা কিন্তু নয়। সম্প্রতি আপনারা দেখেছেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কী চলছে। মানারাত ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি চেঞ্জ করতে হচ্ছে। আমরা চাই, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের সক্ষমতা দিন দিন বাড়াবে, এখানে সরকারের কিছু বলার নাই।’

শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে উল্লেখ করে আবু বকর ছিদ্দীক বলেন, ‘আমরা এখন যে মডেলটা ফলো করছি, সেটাকে বলা হয় গ্লোবাল সিটিজেনশিপ এডুকেশন। এর মানে যে স্টুডেন্টরা এখান থেকে পড়াশোনা করে বের হবে, সে লোকাল এবং গ্লোবালি সমান ভাবে দক্ষ থাকবে। সব জায়গায় সমানভাবে সে পারফর্ম করতে পারবে। আমাদের সারা বিশ্বের নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাচারাল সায়েন্স বিভাগের শিক্ষিকা পূনম মুৎসুদ্দি ও কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের শিক্ষক সৌরভ অধিকারীর যৌথ সঞ্চালনায় নবীনবরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নূরুল আনোয়ার।

এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের সদস্য অধ্যাপক ড. এম মুজিবুর রহমান, মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, মোহাম্মদ আলী আজম স্বপন, আহসানুল হক রিজন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব কামরুল হাসান তালুকদার, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. গণেশচন্দ্র রায়, রেজিস্ট্রার ওবায়দুর রহমান প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর