বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কার দোষে পরীক্ষা দেয়া হল না জিনারুলের?

  •    
  • ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২৩:৪৩

পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়ে জিনারুল ইসলাম জানায়, নির্ধারিত সময়ে সে তার প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তৎকালীন অধ্যক্ষ নুরুল আমীনের কাছে ২ হাজার টাকা দিয়ে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করেছিল। কিন্তু তাকে প্রবেশপত্র দেয়া হয়নি। ইতোমধ্যে ওই অধ্যক্ষ নানা অনিয়মের কারণে বহিষ্কৃত হন।

এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা। পরীক্ষার্থীরা সবাই কেন্দ্রে ঢুকে গেছে। একজন পরীক্ষার্থী কেন্দ্রের বাইরে দাঁড়িয়ে কাঁদছে।

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার জোতকার্ত্তিক (কারিগরি) বিএন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের এ দৃশ্য। ওই পরীক্ষার্থীর নাম জিনারুল ইসলাম। সে উপজেলার বালুদিয়াড় টেকনিক্যাল বিএম কলেজের শিক্ষার্থী।

পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে দাঁড়িয়ে জিনারুল ইসলাম জানায়, নির্ধারিত সময়ে সে তার প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তৎকালীন অধ্যক্ষ নুরুল আমীনের কাছে ২ হাজার টাকা দিয়ে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করেছিল। কিন্তু তাকে প্রবেশপত্র দেয়া হয়নি। ইতোমধ্যে ওই অধ্যক্ষ নানা অনিয়মের কারণে বহিষ্কৃত হন।

নতুন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে গেলে তার প্রবেশপত্র কলেজে নেই বলে জানান। এ অবস্থায় সে বহিষ্কৃত অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে পরীক্ষার আগের দিন প্রবেশপত্র দেয়া হবে বলে জানান। কিন্তু পরীক্ষার দিন সকালেও জিয়ারুল প্রবেশপত্র হাতে পায়নি।

জিনারুল আরও জানায়, ভ্যানচালক বাবার একমাত্র ছেলে সে। পরিবারের অর্থকষ্ট ঘুচাতে সে পড়ালেখার পাশাপাশি নানা কাজ করে। তার ইচ্ছে ছিল পড়াশোনা করে ছোট্ট একটা চাকরি করে হলেও পরিবারের হাল ধরবে। ভ্যানচালক বাবার কষ্ট লাঘব হবে। অথচ অধ্যক্ষের কারণে সে পরীক্ষাতেই অংশ নিতে পারল না।

বালুদিয়াড় টেকনিক্যাল বিএম কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু কাওসার শামসুজ্জামান বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের সব পরীক্ষার্থীর ফরম পূরণের টাকা বহিষ্কৃত অধ্যক্ষ নিজ হাতে নিয়েছেন। নিজেই কাগজপত্র বোর্ডে জমা দিয়েছেন। অফিসের কোনো খাতায় সেগুলো লিপিবদ্ধ করা হয়নি।

‘সব পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র ওই অধ্যক্ষের বাড়িতে রাখা ছিল। পরীক্ষার আগের দিন বুধবার আমাদের কাছে সেগুলো পৌঁছানো হয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র দেয়ার সময় সেখানে সবারটা পেলেও জিনারুলের প্রবেশপত্র পাইনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আরও দুই-একদিন আগে আমরা বিষয়টি জানতে পারলেও জিনারুলের পরীক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করা যেত। কিন্তু সাবেক অধ্যক্ষ আমাদের কিছুই জানাননি। ওই অধ্যক্ষকে নানা অনিয়মের কারণে উপজেলা শিক্ষা বিভাগ ৩ জুলাই সাময়িক বহিষ্কার করেছে।’

নুরুল আমীন বলেন, ‘আমি বহিষ্কার হওয়ার পর থেকে আর কলেজে যাইনি। আর আমার কাছে কারও প্রবেশপত্র রাখা ছিল না। এগুলো মিথ্যা কথা। জিনারুলকেও আমি বলিনি যে প্রবেশপত্র দেব। তার ফরমও আমি পূরণ করিনি। তাকে ঠিকমতো চিনিও না। তবে পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র বুঝিয়ে দেয়া নতুন অধ্যক্ষের দায়িত্ব, আমার না।’

মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিন এ বিষয়ে বলেন, ‘ওই পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র না পাওয়ার বিষয়টি বৃহস্পতিবার সকালে আমরা অবগত হয়েছি। এখন তাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করানোর উপায় নেই। তবে ওই শিক্ষার্থী চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে।’

এ বিভাগের আরো খবর