বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভাষা শেখার বই পেল ত্রিপুরা পল্লীর শিশুরা

  •    
  • ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২৩:৩৭

কুমিল্লা ত্রিপুরা পল্লী সমবায় সমিতির সভাপতি সজিব ত্রিপুরা বলেন, ‘আমরা ককবরক ভাষা বলতে পারি। কেউ কেউ লিখতে পারেন। তবে চর্চা না থাকায় আমরা ভুলতে বসেছিলাম আমাদের মাতৃভাষা।’

কুমিল্লায় ত্রিপুরা পল্লীর শিক্ষার্থীরা অবশেষে হাতে পেল তাদের মাতৃভাষা ককবরক শেখার বই।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের লাইব্রেরিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে এই বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ কামরুল হাসান। সেখানে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের হাতে তিনি বই তুলে দেন।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কোটবাড়ী ত্রিপুরা পল্লীতে চলতি বছরের মার্চ মাসে ককবরক ভাষার স্কুল চালু করা হয়। স্থানীয় ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর ককবরক ভাষা ধরে রাখতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়। সে সময় শিক্ষার্থীরা মাতৃভাষা ভালোমতো রপ্ত করার জন্য বইয়ের দাবি জানায়।

সেই দাবিই পূরন করলেন সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউওনও) শুভাশিস ঘোষ।

তিনি বলেন, ‘সদর দক্ষিণ উপজেলার সালমানপুর এবং জামুড়া এলাকায় ৪৫-৫০টি ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের পরিবার বসবাস করে। কালের বিবর্তনে ত্রিপুরা অধ্যুষিত এই এলাকায় এখন এই সম্প্রদায়ের ভাষা ও সংস্কৃতি প্রায় বিলুপ্তির পথে।

‘তাদের জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনায় স্কুল নির্মাণ শেষ করেছি। আজ তাদের নিজস্ব ভাষার বই তুলে দিলাম।’

কুমিল্লা ত্রিপুরা পল্লী সমবায় সমিতির সভাপতি সজিব ত্রিপুরা বলেন, ‘আমরা ককবরক ভাষা বলতে পারি। কেউ কেউ লিখতে পারেন। তবে চর্চা না থাকায় আমরা ভুলতে বসেছিলাম আমাদের মাতৃভাষা।

‘জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের স্বদিচ্ছার কারণে আমাদের প্রজন্ম আবারো আমাদের মাতৃভাষা ককবরক ও বাংলা ভাষাও এক সঙ্গে শিখতে পারবে। আজ সত্যি আমাদের জন্য আনন্দের দিন।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ‘আজ আমরা ২৭ জন শিক্ষার্থীদের হাতে ককবরক বই তুলে দিলাম। এই ভাষা একটি ঐতিহ্য। তাই ককবরক ভাষা টিকিয়ে রাখা আমাদের দায়িত্ব।’

এ বিভাগের আরো খবর