নড়াইলের তিনটি কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন বাংলা প্রথম পত্রের পরিবর্তে দ্বিতীয় পত্রের নৈর্ব্যক্তিক (এমসিকিউ) প্রশ্ন সরবরাহ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে কালিয়া উপজেলার প্যারী শংকর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, নড়াগাতী থানার বাঐসোনা কামশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
এর মধ্যে কালিয়া প্যারী শংকর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ১০০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে বাংলা প্রথম পত্রের পরিবর্তে দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন সরবরাহ করার পর বিষয়টি পরীক্ষার্থী ও কক্ষ পরিদর্শকদের নজরে আসে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব দীপ্তিরানী বৈরাগী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রশ্নপত্রের প্যাকেটের ওপর বাংলা প্রথম পত্রের কোড লেখা থাকার কারণে বিষয়টি খেয়াল না করেই প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়েছিল। পরে জানতে পেরে দ্রুত সেগুলো গুছিয়ে নেয়া হয়।
‘পরে বাংলা প্রথম পত্রের অতিরিক্ত প্রশ্নপত্র দিয়ে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।’
বাঐসোনা কামশিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৫টি প্রশ্ন সরবরাহের পর বিষয়টি নজরে আসে।
এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমলেন্দু হিরা বলেন, ‘১৫টি প্রশ্ন সরবরাহের পর বিষয়টি নজরে এলে কেন্দ্রসংশ্লিষ্টরা প্রশ্ন দেয়া বন্ধ করে দেন। পরে তা গুছিয়ে নেয়া হয়।’
আর লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রশ্ন সরবরাহের আগেই বিষয়টি নজরে আসে বলে সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব সুভাষ চন্দ্র কুণ্ডু বলেন, ‘আমাদের এখানে সরবরাহ করা একটি প্যাকেটে প্রথম পত্রের পরিবর্তে দ্বিতীয় পত্রের এমসিকিউ প্রশ্ন ছিল। এ প্যাকেটে ১০০টি প্রশ্ন ছিল। পরীক্ষার্থীদের হাতে দেয়ার আগেই বিষয়টি আমাদের নজরে আসে।’
এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ছায়েদুর রহমান বলেন, ‘বিজি প্রেসের ভুলের কারণে এ ভুলগুলো হয়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষকে সব বিষয় অবগত করা হয়েছে।’
তিনি জানান, জেলার তিন উপজেলায় ১৮টি কেন্দ্রে ১০ হাজার ২২৩ শিক্ষার্থী এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।