বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাবিতে শিক্ষক নিয়োগে নতুন নীতিমালা

  •    
  • ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৭:৪৮

সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক একরামুল ইসলাম বলেন, ‘সিন্ডিকেট সভায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা-২০২২ পাস হয়েছে। সব অনুষদের প্রার্থীর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় ন্যূনতম সিজিপিএ ৩ দশমিক ৫ থাকতে হবে। একই সঙ্গে মেধাক্রমে সপ্তম স্থানের মধ্যে থাকা আবশ্যক।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক নিয়োগে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষক পদে আবেদনের জন্য স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় ন্যূনতম সিজিপিএ ৩ দশমিক ৫ নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রার্থীকে বিভাগের মেধাক্রম অনুযায়ী সপ্তম স্থানের মধ্যে থাকতে হবে।

বুধবার রাতে রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেট সভায় এ নীতিমালা অনুমোদন হয়।

সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক একরামুল ইসলাম বলেন, ‘সিন্ডিকেট সভায় ‘বিতর্কিত’ নীতিমালা বাতিল করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা-২০২২ পাস হয়েছে। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে সব অনুষদের প্রার্থীর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় ন্যূনতম সিজিপিএ ৩ দশমিক ৫ থাকতে হবে। একই সঙ্গে মেধাক্রমে সপ্তম স্থানের মধ্যে থাকতে হবে।’তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে যদি কোনো প্রার্থীরই স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় সিজিপিএ ৩ দশমিক ৫ না থাকে, সে ক্ষেত্রে তারা প্ল্যানিং কমিটির মাধ্যমে সুপারিশ করে সিন্ডিকেটের অনুমোদনসাপেক্ষে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি দিতে পারবে। তখন আমরা সেটা শিথিল করতে পারি।’এই সিন্ডিকেট সদস্য বলেন, ‘নতুন নীতিমালায় প্রার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সমষ্টি বিজ্ঞান বিভাগের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৯ এবং মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের জন্য ন্যূনতম ৮ দশমিক ৫ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে যেকোনো একটি পরীক্ষায় জিপিএ ৪ থাকতে হবে। চাকরি প্রার্থীদের প্রত্যেকের থিসিস থাকতে হবে। তবে যেসব বিভাগে থিসিস নেই, সেসব বিভাগের নন-থিসিসের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়ন হয়েছিল। সে অনুযায়ী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় ন্যূনতম সিজিপিএ ৩ দশমিক ৫ প্রাপ্তদের মধ্যে শুধু প্রথম থেকে সপ্তম স্থান অধিকারীরা শিক্ষক পদে আবেদন করতে পারতেন।

২০১৫ সালের সেই নীতিমালায় ব্যাপক পরিবর্তন আসে ২০১৭ সালে। আবেদন যোগ্যতা শিথিল করে নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়, যা শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা-২০১৭ নামে পরিচিত। তাতে সব অনুষদের ক্ষেত্রে প্রথম থেকে সপ্তম স্থান অধিকারীদের আবেদনের বিষয়টি শিথিল করে সবার জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এ ছাড়া আবেদনের ক্ষেত্রে সিজিপিএ ৩ দশমিক ৫-এর নিচে নামিয়ে আনা হয়। এমনকি কিছু অনুষদে আবেদনের যোগ্যতা সিজিপিএ ৩ করা হয়। এ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল।রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার ২০২১ সালের ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০৭তম সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষক নিয়োগ নীতমালা সংস্কার ও প্রণয়নে ১০ সদস্যের কমিটি করেন। সেখানে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলামকে আহ্বায়ক ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালামকে সদস্য সচিব করা হয়।

এই কমিটি শিক্ষক নিয়োগের নতুন এই নীতিমালা প্রণয়নে ইউজিসির গাইডলাইন ও রাবির শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা-২০১৫-এর ওপর গুরুত্ব দেয়। কমিটি গঠনের ১০ মাসের মাথায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫১৬তম সিন্ডিকেট সভায় নতুন নীতিমালা অনুমোদন হলো।

এ বিভাগের আরো খবর