ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৮টি হলের মধ্যে কয়েকটি হল পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে পদপ্রত্যাশীদের থেকে জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করেছে। এর মধ্যে বিজয় একাত্তর হল সবার আগে পদপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে জীবনবৃত্তান্ত নেয়া শেষ করেছে।
শনিবার ও রোববার বিজয় একাত্তর হলের টিভি রুমে এই জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ কার্যক্রম পদপ্রত্যাশীরা হল ছাত্রলীগের সভাপতি সজিবুর রহমান সজিব ও সাধারণ সম্পাদক আবু ইউনুসের কাছে তাদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন। এই দু’দিনে ৩০৬ জন পদপ্রত্যাশী তাদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন।
এর আগে ২০১৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৮টি হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতৃত্ব। পরের বছরের ১৭ নভেম্বর হল কমিটিগুলো পূর্ণাঙ্গ করা হয়। ২০১৮ সালের ২৯ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন হলে এই কমিটিগুলো ভেঙে যায়।
দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে ২ ফেব্রুয়ারি নতুন কমিটি পায় হলগুলো। নতুন কমিটি দায়িত্ব পাওয়ার সাত মাস পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করেছে।
বিজয় একাত্তর হল ছাত্রলীগের সভাপতি সজিবুর রহমান সজিব বলেন, ‘যেহেতু দীর্ঘ সময় পর হল কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হচ্ছে তাই যারা দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল এবং যাদের পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ডে আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে তাদেরকে আমরা গুরুত্ব দেব। পাশাপাশি মেধা এবং দীর্ঘ সময় রাজনীতি করার যোগ্যতাসম্পন্নরাও গুরুত্ব পাবে।’
হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু ইউনুস বলেন, ‘যাদের মেধা ও সাংগঠনিক যোগ্যতা আছে আর সততা নিয়ে যারা রাজনীতি করবে তাদেরকে আমরা কমিটিতে নিয়ে আসব। এসব কিছুর সমন্বয়ে হল কমিটি গঠন করা হবে।’
কেমন কমিটি প্রত্যাশা করছেন জানতে চাইলে হল ছাত্রলীগ কর্মী আনোয়ারুল কবীর (দীপু) বলেন, ‘দীর্ঘদিন যারা হল ছাত্রলীগে সময় দিয়েছে, সাংগঠনিক কার্যক্রমগুলোতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করেছে, এবং যাদের পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড আওয়ামী পরিবারের তাদেরকেই আমরা কমিটিতে চাই।’
আরেক কর্মী সাদিক হাসান মিয়া বলেন, ‘এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগ। নেতৃত্ব দিতে হলে মেধাবী ও দক্ষ হতে হবে। আমাদের প্রত্যাশা, গত পাঁচ বছরে যারা সংগঠনের জন্য শ্রম দিয়েছে এবং যারা যোগ্য, পরিশ্রমী ও সৎ তাদেরকে দিয়ে যেন পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়।’