কৃষিবিজ্ঞানে ডিগ্রি দেয়া দেশের ৮ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা হচ্ছে শনিবার।
তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত এ পরীক্ষায় ৭৯ হাজার ১৫৯ শিক্ষার্থী অংশ নেবেন। এর মধ্যে ১২ হাজার ২৫ জন শিক্ষার্থীর কেন্দ্র পড়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি)।
ঘণ্টাব্যাপী এ ভর্তি পরীক্ষা বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলবে।
জবি কেন্দ্রের ফোকাল পয়েন্ট ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মনিরুজ্জামান খন্দকার নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকবে জবি কেন্দ্র। হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বাকি সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা হবে। ঢাকায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইডেন মহিলা কলেজে পরীক্ষা হবে। ১০টি কেন্দ্রে একযোগে হবে এ পরীক্ষা।
প্রথমবারের মতো কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করবে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এর আগে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ‘লিড ইউনিভার্সিটি’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।
এবার ভর্তি পরীক্ষায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ১২ হাজার ৫০০ জন পরীক্ষা দেবেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭ হাজার জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবেন, যাদের ভর্তি রোল ২২,৫০১ থেকে ২৯,৫০০ পর্যন্ত।
আবেদনের ক্ষেত্রে বিগত বছরগুলোতে আসন সংখ্যার ১০ গুণ ভর্তীচ্ছু শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেতেন, তবে এবার এ সিলেকশন পদ্ধতি বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবার প্রতিটি আসনের বিপরীতে লড়বেন প্রায় ২৩ জন শিক্ষার্থী।
কৃষি গুচ্ছে এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে এইচএসসি বা সমমান পর্যায়ে ইংরেজিতে ১০, প্রাণিবিজ্ঞানে ১৫, উদ্ভিদবিজ্ঞানে ১৫, পদার্থবিজ্ঞানে ২০, রসায়নে ২০ এবং গণিতে ২০ নম্বর থাকবে। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য এক নম্বর দেয়া হবে এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে।
মোট ১৫০ নম্বরের ভিত্তিতে ফল প্রস্তুত করা হবে। ভর্তি পরীক্ষার ১০০ নম্বরের সঙ্গে এসএসসি বা সমমানের জন্য ২৫ ও এইচএসসি বা সমমানের জন্য ২৫ নম্বর যোগ করে ফল প্রস্তুত করে মেধা ও অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরি করা হবে।
কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কত আসন
কৃষি গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়া ৮ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন রয়েছে ৩ হাজার ৫৩৯টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ১১৬টি আসন ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এ ছাড়া শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০৪, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৬০, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪৩, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪৫, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩১, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০ এবং হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯০টি আসন রয়েছে। এ বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০টি ও হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০টি আসন যোগ হয়েছে।
পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশনা
১. অনলাইনে প্রদত্ত প্রবেশপত্র অফসেট কাগজে প্রিন্ট করার পাশাপাশি উচ্চ মাধ্যমিকের মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড অবশ্যই পরীক্ষা কেন্দ্রে আনতে হবে। সেখানে পরীক্ষার্থীর ছবি ও তথ্যগুলো স্পষ্টভাবে মুদ্রিত থাকতে হবে।
২. পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হবে। কেউ চাইলে তার আগেও কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন, তবে নির্ধারিত রুম খোলা হবে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে।
৩. প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই তার নির্দিষ্ট আসনে বসতে হবে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর কোনো পরীক্ষার্থী হলে প্রবেশ করতে পারবেন না।
৪. পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র, অ্যাটেনডেন্স শিট এবং ওএমআর শিটে অভিন্ন স্বাক্ষর থাকতে হবে। উত্তরপত্রে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই কালো কালির বল পয়েন্ট কলম ব্যবহার করতে হবে। সেখানে পেনসিল ও ক্যালকুলেটরসহ যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করা যাবে না।