বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাবি হলে ছাত্র তোলা নিয়ে ছাত্রলীগে হাতাহাতি

  •    
  • ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২১:১৪

সাধারণত নবীনদের দলে ভেড়ানোর দায়িত্ব থাকে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওপর। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম যতদিন চলে, ততদিন হলের সামনে এই দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্ররা দাঁড়িয়ে থাকেন। নতুন কেউ হলে ঢুকলে ভালো সিট এবং সুন্দর পরিবেশের আশ্বাস দিয়ে তারা নিজেদের পক্ষে টানার চেষ্টা করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য ভর্তি হওয়া এক শিক্ষার্থীকে কার গ্রুপে ওঠানো হবে- এটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

এই ঘটনার ভিডিও করতে গেলে হল ছাত্রলীগের সভাপতি শহিদুল হক শিশিরের গ্রুপের এক ছাত্রকে থাপ্পড় দেয়ার অভিযোগ উঠেছে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেনের গ্রুপের এক কর্মীর বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা হলে ওঠেন, তাদের নিজেদের গ্রুপে তুলে দল ভারী করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পক্ষ।

সাধারণত নবীনদের দলে ভেড়ানোর দায়িত্ব থাকে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওপর। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম যতদিন চলে, ততদিন হলের সামনে এই দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্ররা দাঁড়িয়ে থাকেন। নতুন কেউ হলে ঢুকলে ভালো সিট এবং সুন্দর পরিবেশের আশ্বাস দিয়ে তারা নিজেদের পক্ষে টানার চেষ্টা করেন।

মুহসিন হলের ঘটনা নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ছাত্র জানান, সদ্য ভর্তি হওয়া একজনের ফোন নম্বর নিয়ে রাখেন হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হোসেনের গ্রুপের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রলীগ কর্মীরা। তবে সেই ছাত্রকে বেশি সুযোগ-সুবিধা দেয়ার কথা বলে নিজেদের দলে ভেড়ান হল সভাপতি শহীদুল হক শিশিরের অনুসারীরা।

এই খবর জানতে পেরে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা প্রথম বর্ষের ছাত্রদের কক্ষের সামনে জড়ো হন। এ সময় হল ছাত্রলীগের সভাপতির অনুসারীরা তাদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা এবং ধাক্কাধাক্কিতে লিপ্ত হন।

পরে এই ঘটনা মীমাংসা করতে দুই পক্ষের জ্যেষ্ঠ ছাত্ররা ঘটনাস্থলে আসেন। সমঝোতার একপর্যায়ে সভাপতির পক্ষের দ্বিতীয় বর্ষের একজন সাধারণ সম্পাদকের পক্ষের মাস্টার্স পড়ুয়া এক ছাত্রের শার্টের কলার ধরে বসেন। তখন সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মীরা ক্ষিপ্ত হলে পরিবেশ উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে যায়।

পরে সভাপতির পক্ষের স্নাতকোত্তরের এক ছাত্র এই ঘটনার ভিডিও করলে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা তাকে থাপ্পড় দিয়ে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। পরে ভিডিও ডিলিট করে সেটি ফেরত দেয়া হয়।

তবে থাপ্পড় মারার ঘটনা অস্বীকার করেন অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আইনুল ইসলাম মাহবুব। তিনি বলেন, ‘তাকে থাপ্পড় দেয়া হয়নি। ‍সে ভিডিও করায় জুনিয়ররা তার ফোন নিয়ে ভিডিও ডিলিট করেছে। পরে আমি তাকে মোবাইল ফেরত দিয়ে দিতে বলেছি।’

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্র কথা বলতে রাজি হননি। তাকে কল করা হলেও তিনি ফোন কেটে দেন।

হল ছাত্রলীগের সভাপতি শহিদুল হক শিশির এবং সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন দাবি করেছেন, এই ঘটনার কিছুই তারা জানেন না। তবে খোঁজ নেবেন।

এ বিভাগের আরো খবর