বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

২০৩০ সালের মধ্যে নিরক্ষরমুক্ত হবে দেশ, আশা প্রতিমন্ত্রীর

  •    
  • ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৪:১১

প্রতিমন্ত্রী জাকির বলেন, ‘এসডিজি ২০৩০-এর জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর কাজ করছে।

টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের (এসডিজি) লক্ষ্যগুলো পূরণে নিরলসভাবে কাজ করার কথা জানিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেছেন, সরকারের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে নিরক্ষরমুক্ত করা।

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে মহাখালীর উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো (বিএনএফই) মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ লক্ষ্যের কথা জানান।

‘ট্রান্সফর্মিং লিটারেসি লার্নিং প্রসেসেস’ (সাক্ষরতা শিখন ক্ষেত্রের প্রসার) প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত হচ্ছে। ১৯৭২ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে সাক্ষরতা দিবস পালিত হয়। ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি পালন করা হয়। জাতির পিতার আজীবন স্বপ্ন ছিল দারিদ্র্য, নিরক্ষরমুক্ত এবং ক্ষুধামুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা। সেই লক্ষ্য অর্জনে আমরা প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও সুদূরপ্রসারী করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।

‘প্রাথমিক শিক্ষা প্রশিক্ষণ এবং জীবনব্যাপী শিক্ষা গ্রহণের একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছি। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মৌলিক শিক্ষা কার্যক্রম শেষে ১৫ থেকে ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত যুবকদের নিরক্ষরমুক্ত ও শিক্ষিত বেকার সম্প্রদায়কে আত্মকর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

সরকার এসডিজির লক্ষ্যগুলো পূরণে কাজ করছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী জাকির বলেন, ‘এসডিজি ২০৩০-এর জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার। সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের উদ্দেশ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর কাজ করছে।

‘২০৩০ সালের মধ্যে দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূরীকরণের লক্ষ্য নিয়ে সরকার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। আমরা বীরের জাতি। আমরা লক্ষ্য অর্জনে সফল হব।’

দেশে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে নিজ মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গতিশীল নেতৃত্বে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো দেশের সুবিধাবঞ্চিত নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। ‘দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য শিক্ষা ও সাক্ষরতার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। স্বাধীন বাংলাদেশে গণশিক্ষা, সাক্ষরতা, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বিষয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, যার ফলে দেশের সাক্ষরতার হার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে বর্তমান সাক্ষরতার হার ৭৫.৬ শতাংশ।’

তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার-২০১৮-এর আলোকে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আওতায় চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) চলছে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাইরে থাকা এবং ঝরে পড়া ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী ১০ লাখ শিশুকে শিক্ষার মূলধারায় সম্পৃক্তির কাজ চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর