বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তির ক্ষেত্রে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যা ও রসায়নের প্রতিটিতে অন্তত ৯৩ শতাংশ নম্বর পেতে হবে মর্মে যে শর্ত দেওয়া হয়েছে, সেটি কেন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের বিষয়ে বুয়েটের উপাচার্য (ভিসি), রেজিস্ট্রার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ২০২১-২০২২ সেশনের ভর্তি কমিটির চেয়ারম্যানকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. ইউনুস আলী আকন্দ।
গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তির জন্য এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যা ও রসায়নের প্রতিটিতে অন্তত ৯৩ শতাংশ নম্বর পেতে হবে মর্মে যে শর্ত দেওয়া হয়েছে, তার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করা হয়।
রিটে বুয়েটের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ইউনুস আলী আকন্দ এই রিটটি করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুল জারি করে আদালত।
আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ জানান, ‘আগের বছরের বিজ্ঞপ্তিতে নম্বর উল্লেখ করে কোনো শর্ত যুক্ত ছিল না। কিন্তু শর্ত দিয়ে এবারই প্রথম শিক্ষার্থীদের ওপর এটি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে এটি বাতিলযোগ্য।’
বুয়েট সাধারণত ভর্তির বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে এই শর্তে যে শিক্ষার্থীদের গণিত, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও ইংরেজিতে জিপিএ-৫ পেতে হবে। তবে পদার্থবিদ্যা ও রসায়নে ৯৩ শতাংশ নম্বর পেতে হবে– এমন শর্ত কখনও অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। বুয়েটে ভর্তিচ্ছুদের ৯৩ শতাংশ নম্বর পাওয়ার শর্ত সংবিধানের ২৮(৩) ও ৩১ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
২৮(৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদে বা জন্মস্থানের কারণে জনসাধারণের কোনো বিনোদন বা বিশ্রামের স্থানে প্রবেশের কিংবা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির বিষয়ে কোনো নাগরিককে কোনোরূপ অক্ষমতা, বাধ্যবাধকতা, বাধা বা শর্তের অধীন করা যাইবে না।’