রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে এসএসএসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা যেন অসুবিধায় না পড়ে, তা নিশ্চিত করতে দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
সচিবালয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষাকে সামনে রেখে সোমবার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেখছি যে, কোথাও কোথাও সহিংসতা হচ্ছে; কোথাও রাজনৈতিক কর্মসূচি হয়তো ঘোষিত হচ্ছে। সেটা কতটা রাজনৈতিক কর্মসূচির চেহারা থাকছে আর কতটা রাজনৈতিক সহিংসতা হচ্ছে বা অরাজক পরিস্থিতি হচ্ছে?
‘এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষা এগুলো দেশের সবচেয়ে বড় পাবলিক পরীক্ষা। এখানে আমাদের সবার সন্তানেরা, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, তারা এ পরীক্ষাগুলো দিচ্ছেন। তাদের জীবনের প্রথম পাবলিক পরীক্ষা দিচ্ছেন এসএসসির ক্ষেত্রে। এখানে তো রাজনৈতিক ভিন্নমতের কোনো জায়গা নেই। এখানে আমাদের দলীয় রাজনীতির কোনো বিষয় নেই।’
আগামী বছর নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক নানা কর্মসূচি হাতে নিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। এসব কর্মসূচির অনেকগুলোই শেষ পর্যন্ত সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। পুলিশ ও সরকার সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সংঘর্ষে প্রাণও হারিয়েছেন কয়েকজন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ আমাদের প্রত্যেকের সন্তান। তাই আমি আশা করব, নিশ্চয়ই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, এটা গণতান্ত্রিক অধিকার। সব রাজনৈতিক দল কর্মকাণ্ড করবে, কিন্তু এমন কোনো কর্মসূচি যাতে কেউ না দেন, যাতে আমাদের কোনো পাবলিক পরীক্ষা কোথাও বিঘ্নিত না হয়। এটির দিকে নজর দেয়ার জন্য দেশের সকল রাজনৈতিক দলের কাছে আমি অনুরোধ জানাব।
‘রাজনীতি তো দেশের জন্যই; আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যই। কাজেই তাদের ভবিষ্যত নষ্ট হয় এমন কোনো কাজ করলে সেটি নিশ্চয়ই রাজনীতি বলে বিবেচিত হবে না; সেটি অপরাজনীতি হবে। আমাদের সন্তানদের কথা মাথায় রেখেই যেন আমরা কর্মসূচি ঠিক করি এবং কোনোভাবেই যেন সহিংসতার দিকে আমরা না যাই।’
তিনি বলেন, ‘আগামী বছর স্বাভাবিকভাবে নির্বাচনের বছর। একজন রাজনীতির মানুষ হিসেবে আমি নিশ্চয়ই আশা করব যে, আমাদের মধ্যে ইতিবাচকতা থাকবে…নিশ্চয়ই মানুষের কাছে যাওয়ার জন্য আমরা নির্বাচনের বছর কাজ করি। তখন তো আমাদের নেতিবাচক হওয়া উচিত নয়।
‘যে রাজনীতিই করি না কেন, আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ আমাদের কাছে সবচেয়ে বড়। রাজনীতিটা করিই তো তাদের জন্য।’