অফিসমুখী মানুষের কারণে সকালে সৃষ্ট যানজট এড়াতে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা সকাল ১০টার পরিবর্তে শুরু হবে বেলা ১১টায়।
সচিবালয়ে সোমবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সভা শেষে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তিনি বলেন, ‘আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। কোভিড পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষার বিষয় ও সময় কমিয়ে আনা হয়েছে। এবারও পরীক্ষা হবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সোমবার আয়োজিত সংবাদ সম্মলনে বক্তব্য দেন মন্ত্রী দীপু মনি। ছবি: নিউজবাংলা
শহরে সকালে সৃষ্ট যানজট এড়াতে পরীক্ষা এক ঘণ্টা পিছিয়ে সকাল ১০টার পরিবর্তে শুরু হবে বেলা ১১টায়।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘পরীক্ষা শেষ হবে দুপুর ১টায়। পরীক্ষা শুরুর অন্তত ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।’
১২ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর সব কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
গত বছরের চেয়ে এবার প্রায় ২ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী কমেছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের তুলনায় এবছর পরীক্ষার্থী কমেছে ২ লাখ ২১ হাজার ৩৮৬ জন। মোট প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৫৫৬টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ১১১টি।
কমে যাওয়ার কারণ ব্যখ্যা করে তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর অনিয়মিত পরীক্ষার্থী থাকে। গতবছর আমরা মাত্র তিনটি বিষয়ের পরীক্ষা নিয়েছিলাম সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। সে কারণে পাসের হারও বেশি ছিল। সে কারণে অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে।
‘পরীক্ষার সময় ৩ ঘণ্টা থেকে কমিয়ে ২ ঘণ্টা করা হয়েছে। এরমধ্যে এমসিকিউ ২০ মিনিট এবং সিকিউ ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। এসএসসিতে বিভাগভেদে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, কৃষিশিক্ষা, সংগীত, আরবি, সংস্কৃত, পালি, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া, চারু ও কারুকলা, পদার্থবিজ্ঞান, বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, রসায়ন, পৌরনীতি ও নাগরিকতা, ব্যবসায় উদ্যোগ, ভূগোল ও পরিবেশ, উচ্চতর গণিত, হিসাববিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, অর্থনীতি বিষয়ে পরীক্ষা হবে।’
এ বছর এসএসসিতে তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে না বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্বে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। কোনো কারণে দেরি হলে তার প্রয়োজনীয় তথ্য লিপিবদ্ধ করে বোর্ডে পাঠাতে হবে।
‘দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসি প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতি লেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ১৫ মিনিট সময় দেয়া হবে। অন্যদিকে প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসি) পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ২০ মিনিটসহ শিক্ষক বা অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।’
পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।