বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ছয় দাবিতে ঢাবি ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম

  •    
  • ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২১:১৮

ক্যাম্পাসের রাজু ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধন করে ছাত্রী হলগুলোর বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেছেন শিক্ষার্থীরা। ছয় দফা দাবি পূরণে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়ে অনশনের হুমকি দিয়েছেন তারা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী হলগুলোতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের পর্যাপ্তসংখ্যক ফিল্টার স্থাপনসহ ছয় দাবি পূরণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তিন দিনের আলটিমেটাম দিয়েছেন হলগুলোর একদল শিক্ষার্থী। এই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণে কাজ শুরু না হলে তারা অনশনের হুমকি দিয়েছেন।

রোববার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এই আলটিমেটামের ঘোষণা দেয়া হয়।

অনাবাসিক ও এক হলের ছাত্রীদের অন্য হলে ঢোকার ব্যবস্থা করা, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের পর্যাপ্তসংখ্যক ফিল্টার স্থাপনসহ ছয় দাবিতে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে এই মানববন্ধন হয়।

শিক্ষার্থীদের বাকি চার দাবি হলো- খাবারের মান বৃদ্ধি ও প্রয়োজনীয় মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা, হলের কর্মচারীদের দৌরাত্ম্য কমানো ও ছাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ, হলে ফার্মেসি স্থাপন ও কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এবং অগ্রিম অ্যাপ্লিকেশন ছাড়া, নাম এন্ট্রির মাধ্যমে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত লেট গেট দিয়ে হলে প্রবেশের ব্যবস্থা করা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ও শামসুন নাহার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আশরেফা এসব দাবি পূরণে আলটিমেটাম ঘোষণা করেন।

আশরেফা বলেন, ‘আমাদের এসব দাবির বিষয়ে আগামীকাল (সোমবার) উপাচার্য স্যারকে স্মারকলিপি দেয়া হবে। আগামীকাল থেকেই আমাদের এই কাউন্টডাউন শুরু হবে। এরপর তিন দিনের মধ্যে যদি এসব দাবি পূরণ না করা হয় তাহলে আর কেউ না এলেও আমি একাই অনশনে বসে যাব।’

মানববন্ধনে বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী উমামা ফাতেমা বলেন, ‘সারা দিনের ক্লান্তি শেষে আমাদের এমন একটা হলে ফেরত যেতে হয়, যেখানে আমাদের খাবারের কোনো নিশ্চয়তা নেই। যে মুরগি বা ভাত রান্না করা হয় সেগুলোর ক্যালরি মান খুবই কম। অথচ এই খাবারের জন্য খরচ করতে হয় ৫০ থেকে ৬০ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়কে খাবারের ওপর ভর্তুকি দিতে হবে।

‘অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের সামান্য রেস্ট নিতেও হলে ঢুকতে দেয়া হয় না। দুপুরে ভাতটাও খেতে দেয়া হয় না। অথচ তাদেরকেও হলে বিভিন্ন ফি দিতে হয়।’

মানববন্ধনে সমাজবিজ্ঞান দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাফিয়া রেহনুমা রিদি বলেন, ‘ডাকসু না থাকায় প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মাঝে মেলবন্ধন নেই। প্রশাসনের একচ্ছত্র আধিপত্যের কারণে শিক্ষার্থীরা অনেক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। শিক্ষকরা ঠিকই বেতন নেন কিন্তু হলগুলোতে ন্যূনতম মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করা হয় না। প্রশাসন এই দাবিগুলো মেনে নিক। প্রশাসন-শিক্ষার্থী দূরত্ব কমে আসুক।’

রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নুসরাত তাবাসসুম বলেন, ‘শামসুন নাহার হলে তিনটি বিল্ডিং আছে। প্রতিটি বিল্ডিংয়ে শুধু একটি করে ফিল্টার রয়েছে। পাঁচ তলার একটি বিল্ডিংয়ের জন্য এই ফিল্টার যথেষ্ট নয়। হলগুলোতে বিশুদ্ধ পানির সুব্যবস্থা করা জরুরি।

‘আমরা এসব সমস্যা যখন হল প্রশাসনকে জানানো হয়, বলে বাজেট নেই। আমাদের প্রশ্ন, শিক্ষার্থীদের খাবার ও পানির জন্য যদি বাজেট না থাকে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কোন খাতে ব্যয় হয়?

‘মেয়েদের হলে বেশিরা ভাগ কক্ষে সিলিং ফ্যান নেই। হল প্রশাসনের যুক্তি- মেয়েরা যেন সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করতে না পারে সে জন্য এই ব্যবস্থা। আবার মেয়েদের নিজস্ব টেবিল ফ্যানও নিতে দেয়া হয় না। এটি করলে নাকি বিদ্যুৎ খরচ বেশি হবে।’

আশরেফা তাসনিম বলেন, ‘হলের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন ভবনে তালা মেরে দেয়া হয়। কোনো কারণে দুর্ঘটনা ঘটলে কোনো মেয়ে সেখান থেকে বেরোতে পারবে না। এক হলের মেয়েরা আরেক হলে ঢুকতে পারে না।

‘কোনো মেয়ে অসুস্থ হলে জরুরি প্রয়োজনে ওষুধ কেনার ব্যবস্থা নেই। ডাকসু থাকাকালীন অনেক সুযোগ-সুবিধা পেত মেয়েরা। আজ ডাকসু না থাকায় মেয়েরা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান- আমাদের এসব যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়া হোক।’

এ বিভাগের আরো খবর