ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ এবং আল্লামা রুমি সোসাইটি বাংলাদেশ-এর যৌথ উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী ‘আন্তর্জাতিক রুমি সম্মেলন’ শুরু হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন হলে শনিবার এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন আল্লামা রুমি সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ রেজাউল করিম, সোসাইটির উপদেষ্টা সৈয়দ মাহমুদুল হক, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. অমিত দে এবং সম্মেলন আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চেয়ারম্যান এবং সম্মেলন আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘ফারসি ভাষার কবি জালাল উদ্দিন মুহাম্মদ রুমি ছিলেন মানবতাবাদী দার্শনিক। তিনি তার সব সৃষ্টিকর্মে প্রেম, আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ, মানবসেবা ও আলোকিত সমাজ বিনির্মাণের বার্তা দিয়েছেন।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কবি জালাল উদ্দিন রুমি ও বাংলার রুমিখ্যাত সৈয়দ আহমদুল হকের ওপর অধিকতর মৌলিক গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘জালাল উদ্দিন রুমি ছিলেন প্রেম, সম্প্রীতি ও প্রজ্ঞার কবি। তিনি তার সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে মানবতাবাদী দর্শন প্রচার করেছেন। এই আধ্যাত্মিক কবি, ইসলামি ব্যক্তিত্ব এবং সুফি সাধক তার লেখনীর মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক, মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে যে অনন্য অবদান রেখেছেন, তা বিশ্ববাসীর কাছে আজও সমাদৃত।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি এবং ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে এই সম্মেলন আয়োজন করার জন্য উপাচার্য ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ এবং আল্লামা রুমি সোসাইটিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে আল্লামা রুমি সোসাইটির ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ রেজাউল করিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে একটি ট্রাস্ট ফান্ড প্রতিষ্ঠার জন্য ১০ লাখ টাকার একটি চেক উপাচার্যের কাছে হস্তান্তর করেন।
ভারত, ইরান, তুরস্কসহ সাতটি দেশের শিক্ষাবিদ ও গবেষকদের নিয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামে আয়োজন করা হয়েছে তিন দিনব্যাপী এই ‘আন্তর্জাতিক রুমি সম্মেলন’।
এই সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের ২৪ জন গবেষক আটটি অ্যাকাডেমিক সেশনে তাদের গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।