২০২৩ সালের মধ্যে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে একযোগে ইন্টারনেটের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। বৃহস্পতিবার ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) ১৯তম বর্ষপূর্তিতে হওয়া আলোচনা সভায় এ কথা জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় আইসিটি ডিভিশনের মাধ্যমে এ বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পাদিত হবে।
‘আমাদের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানমনস্ক হবে। তারা কেবল প্রযুক্তিবান্ধবই নয়, প্রযুক্তি উদ্ভাবনে এবং ব্যবহারে দক্ষ হবে। তারা সৃজনশীল হবে, মানবিক হবে। শুধু চাকরি খুঁজবে না, উদ্যোক্তাও হবে।’
শিক্ষার্থীদের ডিভাইসের প্রতি আসক্তি কমানোর পরামর্শ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ডিভাইস আমার কাজকে সহজ করে দেয়ার জন্য। কিন্তু আমরা সেই ডিভাইসটার বশ হয়ে যাচ্ছি।’
বাংলাদেশ এখন উন্নত দেশগুলোর কাছে রোল মডেল উল্লেখ করে দীপু মনি বলেন, ‘আমরা ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হয়েছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছি। উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হয়েছি। বাংলাদেশের এই অর্জন বিশ্বে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। বহুক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ রোল মডেল।’
ডুয়েটের জমি স্বল্পতা নিরসনে শিগগিরই কাজ করা হবে জানান শিক্ষামন্ত্রী। বলেন, ‘২৫ একরের মধ্যে ডুয়েট অবস্থিত। এখানে আরও বেশি জমির প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি। ইতোমধ্যে ইউজিসির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ডুয়েট কর্তৃপক্ষ প্রস্তাব দিলে মন্ত্রণালয় অবশ্যই টা গুরুত্ব সহকারে দেখবে।’
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘দেশব্যাপী ৬২টি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাইলটিং চলছে। ২০২৫ সালের মধ্যে সব প্রতিষ্ঠানে তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করছি।’
ডুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রশীদ। উপস্থিত ছিলেন, ডুয়েটের বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা।