দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শুক্রবার দুপুরে ‘বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ জাতি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মহানায়ক’ শিরোনামে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনছি, শিক্ষাকে আনন্দময় করার চেষ্টা করছি। শিক্ষা হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবান্ধব। এর মধ্য দিয়ে মানবিক সৃজনশীল মানুষ তৈরির চেষ্টা চলছে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে অনুধাবন করতে হবে হৃদয় দিয়ে, যেমন করে তিনি বাংলার মানুষের স্বপ্নকে ধারণ করেছিলেন বুকের মধ্যে। দেশের স্বাধীনতা, উন্নয়ন ও মানুষকে ভালোবাসার কারণেই ১৫ আগস্ট মুজিবকে হত্যা করা হয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ডের কুশীলবদের বিচারের দাবি জোরালো হচ্ছে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৪১ বছরে অন্তত ২১ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। একাত্তরের ঘাতক, পঁচাত্তরের ঘাতক, ২০০৪-এর ২১ আগস্টের ঘাতক এবং ২০১৩-১৪ সালের অগ্নিসন্ত্রাসের ঘাতক দল এক ও অভিন্ন। আজও তারা আস্ফালন করে আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর জন্য। এ জন্য সবাইকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।’
দীপু মনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত। আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগবিরোধী। একদিকে মুক্তিযুদ্ধের সমমনা আর উল্টোদিকে যারা, তাদের কোনো আদর্শ নেই। অগ্নিসংযোগ, অর্থ আত্মসাৎ, গ্রেনেড হামলা রাজনীতির আদর্শ হতে পারে না।’
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান।
বক্তব্য দেন সাংসদ আহমেদ ফিরোজ কবির ও নুরুজ্জামান বিশ্বাস, অ্যাটকোর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু ও অধ্যাপক ড. নূরজাহান বেগম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। স্বাগত বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম মোস্তফা কামাল খান।
এর আগে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন শিক্ষামন্ত্রী। পরে তিনি শিক্ষকদের হাতে গবেষণা সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।