বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দক্ষিণ এশিয়ার জ্ঞানব্যবস্থা নিয়ে সিইউবিতে সেমিনার

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ২১ আগস্ট, ২০২২ ২০:৪৯

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এইচ এম জহিরুল হক বলেন, ‘অতীতে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের সৎ ও চরিত্রবান মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। যাতে তারা ব্যক্তির পূজায় নিজেদের নিয়োজিত না থেকে সমাজ, দেশ বা সারা বিশ্বের জন্য কাজ করতে পারে।’

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশে (সিইউবি) ‘দক্ষিণ এশীয় জ্ঞানব্যবস্থা: বৈশ্বিক একীকরণের জন্য প্রতিফলন’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সম্প্রতি রাজধানীর প্রগতি সরণিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অডিটোরিয়ামে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এইচ এম জহিরুল হক বলেন, ‘অতীতে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের সৎ ও চরিত্রবান মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। যাতে তারা ব্যক্তির পূজায় নিজেদের নিয়োজিত না থেকে সমাজ, দেশ বা সারা বিশ্বের জন্য কাজ করতে পারে।’

ওই সময়ে পাঠ্যক্রমে এবং শিক্ষা ও শিখন পদ্ধতিতে মূল্যবোধকে প্রাধান্য দেয়া হতো জানিয়ে তার দাবি, ‘আজকের শিক্ষা ব্যবস্থায় মূল্যবোধের অস্তিত্বই নেই।’

ব্রিটিশ আমল থেকে শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তন শুরু হয় জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘তখন শিক্ষা থেকে নৈতিকতা বা মূল্যবোধ আস্তে আস্তে কমতে শুরু হয়, শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে ভাল মানুষ হওয়ার যে প্রধান লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল সেটি আস্তে আস্তে ক্ষীণ হয়ে পড়ে। অপর দিকে শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য হিসেবে মুখ্য হয়ে উঠে ভাল একটি চাকরি পাওয়া কিংবা ধনী হওয়ার জন্য ব্যবসা করা অথবা ডাক্তার ও ইঞ্জিনিয়ার হয়ে সম্পদশালী হওয়া।’

ব্রিটিশ আমল বা তার পরেও শিক্ষাব্যবস্থায় কিছুটা হলেও মূল্যবোধ, নৈতিকতা এবং সততার আভাস থাকলেও আজকের দিনে শিক্ষা থেকে একেবারে মুছে গেছে বললেও ভুল হবে না বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে একজন শিক্ষার্থী সব সময় অন্যকে বাদ দিয়ে কীভাবে নিজে এগিয়ে যাবে- এটাই তার উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য হিসেবে বিবেচিত হয়।’

মূল প্রবন্ধে এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন অ্যান্ড রিসার্চের সহযোগী ডিন প্রফেসর ড. মুনিম কুমার বাড়ৈ বলেন, ‘আমাদের সমাজের শিক্ষা ক্ষেত্রে মূল্যবোধের বিচ্যুতি ঘটেছে। এর মূল কারণ হচ্ছে শিক্ষার ক্ষেত্রে বাণিজ্যিকীকরণ অথবা সব কিছুতেই ব্যবসায়ী মনোভাব। আমরা অতীতে শিক্ষা ও সর্বক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়েছি। যার ফলে আমাদের দেশে পৃথিবীর বহু দেশ থেকে জ্ঞান অর্জন কিংবা বাণিজ্যিক স্বার্থে এদেশে এসেছে। এটি ছিল আমাদের গর্বের বিষয়।’

হারানো অতীত ঐতিহ্য এখনও ফেরানো সম্ভব জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জাপানে টাকার বস্তাও যদি কেউ ফেলে কোথাও চলে যায়, এটি শতভাগ নিশ্চিত যে, ওই ব্যক্তি সেটি আগের অবস্থানে ফেরত পাবে। এটি একমাত্র সততা মূল্যবোধের কারণেই সম্ভব।’

ড. বাড়ৈ ভারতীয় উপমহাদেশের আদর্শ ও মূল্যবোধের বিষয়ে আলোকপাত করে বলেন, ‘প্রতিটি সভ্যতার একটি নিজস্ব মূল্যবোধ থাকে, তেমনি ভারতীয় সভ্যতার নিজস্ব মূল্যবোধ ছিল। কিন্তু আমরা আমাদের মূল্যবোধকে সংরক্ষণ করতে পারিনি। যার ফলে আমাদের মূল্যবোধ হারিয়ে গেছে প্রায়। আমরা বিভিন্ন ধর্মের মানুষ এই উপমহাদেশে বাস করলেও আমাদের পরিচিতি কিন্তু একটাই। সেটি হলো যে আমরা এশিয়ান, ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষ, নির্দিষ্টভাবে আমরা বাঙালি। এটিই আমাদের পরিচয়।’

সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

এ বিভাগের আরো খবর