বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নানা আয়োজনে জবিতে জন্মাষ্টমী পালন

  •    
  • ১৮ আগস্ট, ২০২২ ২৩:৩২

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘প্রতিটি ধর্মের মূল বার্তা শান্তি। আজ এখানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি অন্য ধর্মাবলম্বী অনেকে উপস্থিত হয়েছেন। এর মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ পেয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসে প্রতিটি ধর্মের অনুসারীদের জন্য পৃথক উপাসনালয় থাকবে।’

শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও নাম-কীর্তনসহ নানা আয়োজনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) শুভ জন্মষ্টমী উৎসব পালন করা হয়েছে।

জবি কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী এসব কর্মসূচি পালিত হয়।

এদিন সকাল ১১টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে শোভাযাত্রা বের হয়।

দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবনের নিচতলায় অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। আলোচনা সভার শুরুতে গীতাপাঠ করেন শিক্ষার্থী অনামিকা মল্লিক।

পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী দেবানন্দ মণ্ডল ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী দেবাশীষ চন্দ্র শীল সূচনা বক্তব্য দেন। তারা সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ক্যাম্পাসে একটি উপাসনালয় স্থাপনের দাবি জানান।

সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. পরিমল বালা।

আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. অনির্বাণ সরকার।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক তার বক্তব্যে বলেন, ‘প্রতিটি ধর্মের মূল বার্তা শান্তি। আজ এখানে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশাপাশি অন্য ধর্মাবলম্বী অনেকে উপস্থিত হয়েছেন। যার মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ পেয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসে প্রতিটি ধর্মের অনুসারীদের জন্য পৃথক উপাসনালয় থাকবে।’

সমাপনী বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘সবার সম্মিলিত চেষ্টায় আজকের উৎসব যথাযথভাবে উদযাপন সম্ভব হচ্ছে। এটিই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত।’

আলোচনা সভা শেষে হরিনাম কীর্তন এবং সবার মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. একেএম লুৎফর রহমান, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম, অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক ড. কাজী নাসিরউদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল ও পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার গোস্বামী।

এছাড়াও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর