খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলে রাইসকুকার ও রান্নার সরঞ্জাম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজিতা হল গেটের সামনে মঙ্গলবার রাত ১১ টার দিকে ছাত্রীরা অবস্থান নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন ছাত্ররাও। রাত ১২টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আন্দোলন চলছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে অপরাজিতা হলের টয়লেটে গিয়ে এক ছাত্রী আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে গলায় বটি দিয়ে পোচ দেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সন্ধ্যায় অপরাজিতা হলে দা, বটি, চাকু এমনকি রাইসকুকারও নিষিদ্ধ করে কর্তৃপক্ষ। ছাত্রীদের রুমে গিয়ে সরঞ্জামগুলো জব্দ করা হয়। সবাইকে ডাইনিংয়ের খাবার খেতে নির্দেশ দেয়া হয়।
অপরাজিতা হলের ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘আমাদের ডাইনিংয়ের খাবারের মান খুবই খারাপ। তার মধ্যে রাইসকুকার নিষিদ্ধ করা হলো। রান্নার সব সরঞ্জামও হলে রাখতে নিষেধ করা হয়েছে। আমাদের দাবি মেনে না নেয়া হলে ফিরব না।’
লীমা নামের আরেক ছাত্রী বলেন, ‘আজকে আন্দোলনে আসতে আমাদের বাধা দেয়া হয়েছিল। আমরা হলের দুটি তালা ভেঙে নেমেছি।’
আন্দোলনের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক মো. শরীফ হাসান লিমন সেখানে যান।
তিনি বলেন, ‘আমি ছাত্রীদের আন্দোলন থেকে সরে আসতে বলেছিলাম। তবে তারা রাজি হয়নি।’