বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জবিতে লাইব্রেরি খুলে দেয়ার দাবিতে অবস্থান

  •    
  • ১ আগস্ট, ২০২২ ১৮:৫৩

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ফারুক জানান, ‘রুমগুলো ব্যবহার করতে না দিলে আমরা পড়ব কোথায়? বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতেও আমাদের পড়ার সুযোগ দেয়া হয় না। লেখাপড়ার সুযোগ নিয়ে এমন হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) উন্মুক্ত লাইব্রেরি পুনরায় খুলে দেয়ার দাবিতে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার বিকেলে শিক্ষার্থীরা উন্মুক্ত লাইব্রেরির সামনে থেকে প্রথমে প্রশাসনিক ভবনের ভেতর প্রবেশ করতে চান। সেখানে তারা প্রক্টরিয়াল বডির বাধার মুখে পড়েন। পরে ভবনের সামনেই তারা অবস্থান নেন।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য উন্মুক্ত লাইব্রেরিগুলো খুলে দিতে প্রক্টরকে নির্দেশ দিলে সেগুলো পরদিন থেকেই লেখাপড়ার জন্য খুলে দেয়া হয়। তবে বিভাগগুলো বিকেল ৪টার পরপরই বন্ধ করে দেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকরা আমলাদের মতো আচরণ করেন বলেও অভিযোগ তাদের।

অবস্থান নেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান বলেন, ‘কক্ষগুলো ঠিক করার পর আমাদের আর ব্যবহার করতে দেয়া হচ্ছে না। বিভাগ থেকে বলছে প্রশাসন বললে খুলে দেবে। আর প্রশাসন বলছে অনুমতি দেয়া আছে। বাস্তবে একে অপরের ওপর দায় চাপাচ্ছে।’

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ফারুক জানান, ‘রুমগুলো ব্যবহার করতে না দিলে আমরা পড়ব কোথায়? বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতেও আমাদের পড়ার সুযোগ দেয়া হয় না। লেখাপড়ার সুযোগ নিয়ে এমন হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিলে তারা অবস্থান কর্মসূচি তুলে নেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ১১ ব্যাচের মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ট্রেজারার স্যার আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে বৃহস্পতিবারের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা আইডি কার্ড দিয়ে ভেতরে বই নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে জানিয়ে দেয়া হবে।’

প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা তাদের যৌক্তিক দাবি নিয়ে ট্রেজারার স্যারের কাছে এসেছিল। স্যার তাদের জানিয়েছেন যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে রুমগুলো খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। আর কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি বিষয়ে লাইব্রেরিয়ানের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’

২০১৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তিনটি কক্ষ, অর্থনীতি বিভাগের দুটি, সমাজকর্ম বিভাগের একটি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দুটি এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের দুটি মিলে মোট ৯টি কক্ষ এবং কলা ভবনের বারান্দায় গড়ে তোলা হয় উন্মুক্ত লাইব্রেরি।

এ বিভাগের আরো খবর