গবেষণা ভাতার ব্যাপারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রশাসন আগ্রহী নয় বলে অভিযোগ করেছে শিক্ষক সমিতি।
রোববার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক লাউঞ্জে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এমন অভিযোগ করা হয়। সমিতির নেতৃবৃন্দ এ সময় শিক্ষক সমিতির নির্বাচনী ইশতেহারের বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন।
জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, ‘শিক্ষকদের মাসিক গবেষণা ভাতার ব্যাপারে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানিয়েছি। কিন্তু প্রশাসন এতে আগ্রহী নয়। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, দেশের আর্থিক অবস্থা ভালো নয়।’
তিনি বলেন, ‘প্রশাসন বলছে যে ইউজিসি থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গবেষণা ভাতা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আমরা প্রশাসনকে অনুরোধ করেছি, ন্যূনতম এক হাজার দুই হাজার টাকা করে হলেও শিক্ষকদের মাসিক গবেষণা ভাতা দিন। আমরা এটাও বলেছি- আপনারা শিক্ষকদের গবেষণা কার্যক্রম দেখেন। কিন্তু প্রশাসন আগ্রহী নয়। বলা হচ্ছে, এটা শুরু করতে গেলে ইউজিসির পক্ষ থেকে বাধা আসতে পারে।’
নবীন শিক্ষকদের গবেষণায় আগ্রহী করতে মাসিক গবেষণা ভাতার গুরুত্বের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভালো গবেষণা করে বার্ষিক ভাতা পেতে পারেন শিক্ষকরা।’
অধ্যাপক ড. আবুল কালাম বলেন, ‘তবে একেবারেই কিছু আমরা পাচ্ছি না এমন নয়। আমাদের শিক্ষকদের মধ্যে যারা ভালো গবেষণা জমা দিচ্ছেন তারা বছর শেষে ভাতা পাচ্ছেন। তাছাড়া ডিনস অ্যাওয়ার্ড এবং ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড চালু আছে। তাছাড়া মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প বা বাইরে থেকে কাজ এনেও অনেকে আর্থিকভাবে উপকৃত হচ্ছেন।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের শুধু ভালো গবেষণার ওপর ভিত্তি করে নির্দিষ্টসংখ্যক শিক্ষক বার্ষিক ২৫ হাজার টাকা গবেষণা ভাতা পেয়ে থাকেন।