বিদুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সপ্তাহে এক দিন অনলাইন ক্লাস নেয়া বিষয়ে পরবর্তী অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রশাসন।
নিউজবাংলাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক সোমবার এমন তথ্যই জানিয়েছেন।
উপাচার্য ইমদাদুল হক বলেন, ‘এখন যেহেতু জ্বালানি, বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে বলা হয়েছে, এমন সিদ্ধান্ত আসতে পারে। সামনের কাউন্সিলে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চিন্তাভাবনা করছি সপ্তাহে যদি এক দিনও অনলাইনে ক্লাস হয়, তাহলে গাড়ি বন্ধ থাকবে, তখন জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। এক দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের যানবাহন বন্ধ থাকলে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয় হতে পারে।‘’
বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্লাস-পরীক্ষা না থাকলে অযথা যেন লাইট, ফ্যান চালিয়ে না রাখা হয়; এসির দরকার না হলে ব্যবহার না করাসহ বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইমদাদুল হক।
তিনি বলেন, ‘আমি নিজে সবাইকে বলে দিয়েছি, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিস, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগ, প্রতিটি প্রশাসনিক দপ্তর, সব জায়গায় প্রয়োজনীয় কাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেন লাইট-ফ্যান সব বন্ধ করে দেয়া হয়।’
দেশের সবাইকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিশ্ববাজারে জ্বালানির তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশে গত ১৯ জুলাই থেকে শিডিউল অনুযায়ী এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সে সঙ্গে ডিজেল পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত রাখা, সরকারি-বেসরকারি অফিসের কিছু কার্যক্রম ভার্চুয়ালি করা এবং সপ্তাহে এক দিন পেট্রল পাম্প বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে।