দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খরচ কমাতে বলা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত এক নির্দেশনায় ২৫ শতাংশ বিদ্যুৎ ও ২০ শতাংশ জ্বালানি খরচ কমাতে বলা হয়েছে।
রোববার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) উপপরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) অধ্যাপক বিপুল চন্দ্র বিশ্বাসের সই করা নির্দেশনা থেকে এ তথ্য জানা যায়।
নির্দেশনায় বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মাউশির অধীনস্ত সব অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ-জ্বালানি সাশ্রয় করতে হবে। সে লক্ষ্যে নতুন করে পাঁচ দফা নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলা হয়েছে।
যেসব নির্দেশনা মানতে হবে
১. মাউশি ও তার অধীনস্ত সব অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যুতের ব্যবহার ২৫ শতাংশ কমাতে হবে। প্রতিষ্ঠানপ্রধানরা বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। এ-সংক্রান্ত একটি সাশ্রয়ী প্রতিবেদন প্রতি মাসের ৩ তারিখের মধ্যে অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইংয়ে পাঠাতে হবে।
২. শিক্ষক-কর্মকর্তাদের গাড়ির জ্বালানিসংক্রান্ত মাসিক প্রাপ্যতা থেকে ২০ শতাংশ কমাতে হবে।
৩. যেসব সভা-অনুষ্ঠান অনলাইনে করা সম্ভব, সেগুলো সশরীরে আয়োজন পরিহার করতে হবে।
৪. যেসব কর্মকর্তার কক্ষে এসি রয়েছে, সেসব এসি ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় চালাতে হবে।
এ ছাড়া উল্লিখিত নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবহার সঠিকভাবে করা হচ্ছে কি না তা তদারকির জন্য প্রত্যেক অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মনিটরিং টিম গঠন করতে হবে।
নির্দেশনা অনুযায়ী অধিদপ্তরের আওতাধীন সব অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির ব্যবহার সঠিকভাবে করা হচ্ছে কি না তা তদারকিপূর্বক একটি সাশ্রয়ী প্রতিবেদন প্রতি মাসের ৩ তারিখের মধ্যে মাউশির মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইংয়ে পাঠাতে হবে।