বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জবি শিক্ষার্থীদের জন্য খুলল উন্মুক্ত পাঠাগার

  •    
  • ২৪ জুলাই, ২০২২ ১৮:৩৪

গত ২৩ জুলাই নিউজবাংলায় ‘জবির উন্মুক্ত লাইব্রেরি বন্ধে বিপাকে শিক্ষার্থীরা’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশ হয়। এতে শিক্ষার্থীদের লাইব্রেরিতে পড়াশোনোর বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। সেদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক উন্মুক্ত লাইব্রেরির পাঁচটি রুম খোলা রাখার নির্দেশ দেন।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উন্মুক্ত লাইব্রেরি বন্ধে বিপাকে পড়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। এ বিষয়ে দেশের অনলাইনভিত্তিক গণমাধ্যম 'নিউজবাংলা'তে প্রতিবেদন প্রকাশের পর শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে উন্মুক্ত পাঠাগার। এতে স্বস্তির কথা জানিয়েছেন পাঠাগারের শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন দ্রুত পদক্ষেপে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

গত ২৩ জুলাই নিউজবাংলায় ‘জবির উন্মুক্ত লাইব্রেরি বন্ধে বিপাকে শিক্ষার্থীরা’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশ হয়। এতে শিক্ষার্থীদের লাইব্রেরিতে পড়াশোনোর বিষয়টি দৃষ্টিগোচর হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। সেদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক উন্মুক্ত লাইব্রেরির পাঁচটি রুম খোলা রাখার নির্দেশ দেন।

এরই মধ্যে দুটি রুম খুলে দেয়া হয়েছে। সোমবার আরও তিনটি রুম খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

পাঠাগার খোলার বিষয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের আবু সুফিয়ান শুভ বলেন, ‘উন্মুক্ত লাইব্রেরিতে মাঝে বেশ কিছুদিন পড়ার কোনো রুম ছিল না। আমি সেদিন নিউজবাংলার সংবাদটি দেখে নিজের ফেসবুকে নিউজটি শেয়ার দিই। পরের দিনই উপাচার্য স্যার পাঁচটি রুম খোলা রাখার নির্দেশ দেন। যারা পাঠাগারে নিয়মিত পড়াশোনা করেন, তাদের জন্য বিষয়টি আনন্দের।

মনোবিজ্ঞান বিভাগের নাজমা ফারাহ বলেন, ‘আশা করি এখন আগের মতো পড়াশোনায় গতি আসবে। কেননা চাকরির বাজারে যে প্রতিযোগিতা তাতে একদিন পড়াশোনা না করলেই অনেক পিছিয়ে যেতে হয়। দ্রুতই ঘাটতি পূরণ করে চাকরিক্ষেত্রে নিজেদের যোগ্য করার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন তিনি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় সব সময় শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করেই সব পদক্ষেপ নেয়। আমাদের ৯টি কক্ষ বরাদ্দ ছিল। কক্ষগুলোতে সংস্কারকাজ চলছিল। কিন্তু ছাত্রদের অসুবিধার বিষয়টি নিউজবাংলার একটি সংবাদের মাধ্যমে আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। তাই সেদিনই প্রক্টরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যাতে অন্তত পাঁচটি কক্ষ খোলা রাখা হয়। শিক্ষার্থীরা যেন পড়াশোনা সুন্দর পরিবেশ পায়।’

উপাচার্য আরও বলেন, ‘উন্মুক্ত লাইব্রেরিতে পরবর্তী সময়ে কক্ষেরে সংখ্যা বৃদ্ধি করা ও কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির কিছু অংশ দ্রুতই শিক্ষার্থীদের পড়ার উপযোগী করার নির্দেশ দিয়েছি। আশা করি এসব সমস্যা আর থাকবে না। আরও কিছু পদক্ষেপ আমরা দ্রুত বাস্তবায়ন করব, যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়ার সুন্দর পরিবেশ পায়।’

এ বিভাগের আরো খবর