বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভর্তিতে অনেক অসংগতি, বাধা: শিক্ষামন্ত্রী

  •    
  • ২০ জুলাই, ২০২২ ১৫:৫২

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘আমরা যখন জীবনব্যাপী শিক্ষার কথা বলছি, তখন জায়গায় জায়গায় দেয়াল তুলছি কেন! এই বয়সের পর আর ভর্তি হওয়া যাবে না, একবারের বেশি ভর্তি পরীক্ষা দেয়া যাবে না, এই বিষয়ে ভর্তি হবার পর অন্য বিষয়ে পড়া যাবে না। এগুলো আমরা কেন বলছি, সেটা আমার বোধগম্য নয়।’

ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নানা অসংগতি ও বাধার মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

তিনি বলেন, ‘আমরা যখন জীবনব্যাপী শিক্ষার কথা বলছি, তখন জায়গায় জায়গায় দেয়াল তুলছি কেন! এই বয়সের পর আর ভর্তি হওয়া যাবে না, একবারের বেশি ভর্তি পরীক্ষা দেয়া যাবে না, এই বিষয়ে ভর্তি হবার পর অন্য বিষয়ে পড়া যাবে না। এগুলো আমরা কেন বলছি, সেটা আমার বোধগম্য নয়।’

‘আইন বিষয়ে পড়ার পর আমি চাইলে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ব, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ার পর আমি চাইলে সাহিত্য নিয়ে পড়ব, কিন্তু কেন আমি পড়তে পারব না। আমাদের কেন দেয়াল তুলতে হবে!’

বুধবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে উচ্চ শিক্ষায় অ্যাক্রেডিটেশন বিষয়ক সম্মেলন ও অ্যাক্রিডিটেশন প্রক্রিয়ার উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বুধবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ছবি: নিউজবাংলা

বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

শিক্ষার পরিবেশ বিবেচনায় না নিয়ে শুধু শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, শিক্ষার পরিবেশ বিবেচনায় না নিয়ে আমরা শুধু শিক্ষার্থী ভর্তি করে যাচ্ছি। কত বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারছি, সেটা নিয়ে ব্যস্ত আমরা।

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার ফিজিক্যাল মাস্টারপ্ল্যানের পাশাপাশি একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যানের কথা বলেছেন। তারপরও আমরা তা করছি না। আমরা মাস্টারপ্ল্যান করার জন্য বারবার তাগাদা দিচ্ছি।’

দীপু মনি বলেন, ‘১৮ বছর বয়সে সিদ্ধান্ত নিলাম আমি সাহিত্য, পদার্থবিজ্ঞান বা রসায়ন নিয়ে পড়ব। ছয় মাস, এক বছর, তিন বছর পর আমার মনে হল আমি এই বিষয়ে পড়তে চাই না। কিন্তু আমার সামনে পথ খোলা নেই। আমাকে ধরে নিতে হবে, এটা আমার ব্রেক অফ স্টাডি। সারা বিশ্বে এটা পারলে বাংলাদেশে কেন পারবে না!

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘১০০ বছর পূর্ণ হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) ১০০ বছর আগে যে বিষয়গুলো চালু হয়েছিল, আজকের দিনে তার প্রতিটি বিষয় একইভাবে প্রাসঙ্গিক কিনা সেটা আমাদের দেখতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সমাবর্তনের মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের হাতে সুন্দর একটা সার্টিফিকেট তুলে দিচ্ছি। কিন্তু এই সার্টিফিকেট সে তার জীবনে কতটা কাজে লাগাতে পারছে, কর্মজগতে তার শেখাটা কত ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারছে, সেটা দেখা আমাদের দায়িত্ব। এই দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। কাজেই আমাদের কর্মজগতের চাহিদার কথা মাথায় রাখতে হবে।’

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেকে তৈরির আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের নিজেদের তৈরি করতে হবে। সেক্ষেত্রে শিক্ষায় গুণগত মান আমাদের অর্জন করতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আমাদের আন্তর্জাতিক মানের সাথে সামঞ্জস্য রাখতে হবে। সেজন্য অ্যাক্রিডিটেশন প্রক্রিয়া অনেক বেশি জরুরি। অ্যাক্রিডিটেশন একটা ফলপ্রসূ প্রক্রিয়া।

‘শুধু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান নির্ণয় হবে, এমনটি নয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও সেল্ফ অ্যাসেসমেন্টের মধ্যে দিয়ে অনেক কিছু শিখবে। নিজেদের ছাড়িয়ে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অ্যাক্রিডিটেশন প্রক্রিয়ায় আসলে খুব দ্রুত সুফল পাবে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক র‍্যাঙ্কিং আমাদের মূল লক্ষ্য নয়। বিশাল যুব সমাজকে কর্মমুখী করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। আমাদের দক্ষ যুব সমাজ দরকার। উচ্চ শিক্ষায় দক্ষতা নিশ্চিত করার ফ্রেমওয়ার্ক হতে পারে অ্যাক্রিডিটেশন প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে গুণগত মানে ব্যাপক পরিবর্তন আসবে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীক ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ।

এ বিভাগের আরো খবর