সব সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে নিতে হবে মান নিশ্চিতে অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সনদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম, ল্যাব, নিজস্ব ক্যাম্পাস, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ১০টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ৬৩টি বিষয়ে শর্ত পূরণে সনদ দেয়া হবে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘অ্যাক্রেডিটেশন সনদের জন্য যারা আবেদন করবে শর্ত অনুযায়ী তাদের ৬৩টি বিষয়ের উপর কাজ করতে হবে। এরপর যাচাই-বাছাই করে তাদের সনদ দেয়া হবে। বর্তমানে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় সনদের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
যারা পিছিয়ে আছে সনদের জন্য তারাও মান নিশ্চিত করে সনদের জন্য প্রস্তুতি নেবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সনদ না নিলে কি হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমরা নিজেদের মান ঠিক করতে কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করেছি। এর মাধ্যমে আমরা দক্ষ ও কর্মঠ লোক নিয়োগ দেব। অ্যাক্রেডিটেশন সনদ সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। সনদ নিতে আমরা কাউকেও চাপও দেব না। তবে আমরা উৎসাহ দিচ্ছি। আশা করছি, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই নিজ থেকে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ নিতে এগিয়ে আসবে।
‘আবার অবস্থা যদি এমন হয়, সরকারি কর্ম কমিশনের পরীক্ষার ক্ষেত্রে বা বিদেশে উচ্চশিক্ষার স্কলারশিপের ক্ষেত্রে অ্যাক্রেডিটেশন সনদ আছে এমন বিশ্ববিদ্যালয় চাওয়া হয়েছে; সেক্ষেত্রে অবস্থা কী হবে ভেবে দেখুন। সনদ না থাকলে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ সেখানে আবেদন করতে পারবে না। শিক্ষার মান নিশ্চিতে সবাইকে এক ছাতার নিচে আসতে হবে।’
অনুষ্ঠানে জানানো হয় আগামী ২০ জুলাই থেকে অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিল আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য (অ্যাক্রেডিটেশন) অধ্যাপক ড. এস. এম. কবির, সচিব অধ্যাপক এ.কে.এম. মুনিরুল ইসলাম, সদস্য অধ্যাপক ড. গোলাম শাহি আলম, অধ্যাপক ড. সঞ্জয় কুমার অধিকারীসহ আরও অনেকে।