বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চ্যালেঞ্জ নিতে ভয় পাওয়া যাবে না: কানাডার হাইকমিশনার

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৮ জুলাই, ২০২২ ১১:২২

বাংলাদেশে কানাডার হাইকমিশনার বলেন, শিক্ষিত হয়ে সমাজ ও দেশের উন্নয়নের জন্য অবদান রাখতে হবে। কখনও চ্যালেঞ্জ নিতে ভয় পাওয়া যাবে না। সফল হতে হলে ধৈর্যসহ লেগে থাকা খুব দরকার।

নিজেদের শিক্ষিত করে তোলা খুব জরুরি বলে মনে করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলস।

তিনি বলেছেন, শিক্ষিত হয়ে সমাজ ও দেশের উন্নয়নের জন্য অবদান রাখতে হবে। কখনও চ্যালেঞ্জ নিতে ভয় পাওয়া যাবে না। সফল হতে হলে ধৈর্যসহ লেগে থাকা খুব দরকার।

সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির (সিডব্লিউইউ) নবীনবরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন হাইকমিশনার।

রাজধানীর হাটখোলায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রোববার বেলা ১১টার দিকে এ অনুষ্ঠান হয়।

হাইকমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি চমৎকার দেশ। গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ অভাবনীয় উন্নতি করেছে, যা কেউ ভাবতে পারেনি। এমন একটি দেশে এমন একটি সময়ে আপনারা জন্মেছেন। এটি খুব ভাগ্যের ব্যাপার।

‘বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই কানাডার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে এবং এই সম্পর্ক এখন আরও গভীর। আমরা দুই দেশই মানবাধিকার প্রতিষ্ঠাসহ নানা বিষয়ে সমমনা।’

নবীনদের উদ্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. পারভীন হাসান বলেন, ‘আমরা চাই তোমরা যেন লেখাপড়া করে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারো। আমাদের শিক্ষকদের সবাই খুব যোগ্য, মেধাবী ও নিবেদিতপ্রাণ। তোমাদের সহযোগিতা করতে তারা সব সময় প্রস্তুত। তোমরা শিক্ষকদের সঙ্গে সব সময় যোগাযোগ রাখবে। তারা সব সময় তোমাদের সঠিক দিকনির্দেশনা দেবেন।

‘তোমাদের অভিভাবকদেরও ধন্যবাদ দিতে চাই। তারা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে তোমাদের পড়ালেখার জন্য বেছে নিয়েছেন। এখন আমি তাদের অনুরোধ করব, আপনাদের মেয়েদের পড়াশোনা সফলভাবে শেষ হওয়া পর্যন্ত সহযোগিতা করবেন। তারা যেন মাঝপথে ঝরে না পড়ে।’

রেজিস্ট্রার ইলিয়াস আহমেদ বলেন, ‘সম্মানিত অতিথি হিসেবে ড. লিলি নিকোলস আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছেন। তাকে ধন্যবাদ। তার মতো একজন ব্যক্তির উপস্থিতি আমাদের সবার জন্য অনুপ্রেরণার। আমি আশা করব, ভবিষ্যতেও তাকে আমাদের সঙ্গে পাব।’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য তুলে ধরে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান কাজী জাহেদুল হাসান বলেন, ‘আমরা চেয়েছি কম খরচে যেন মেয়েরা মানসম্পন্ন শিক্ষা পেতে পারে। এ উদ্দেশ্য নিয়েই এই বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। আমরা আমাদের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি। নিশ্চিত করতে চেষ্টা করছি, তোমরা যেন দরকারি সব সুযোগ-সুবিধা এখানে পেতে পারো।’

ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড লিটারেচার বিভাগের চেয়ারপারসন আবদুস সেলিম বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি লক্ষ্য হলো নারীর ক্ষমতায়ন। এ জন্য শিক্ষা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সময়কে কাজে লাগিয়ে তোমরা এগিয়ে যাবে।’

জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপারসন সজীব সরকার বলেন, “জীবনে দুটি জিনিস হওয়ার সুযোগ আছে: ‘কিছু’ হওয়া আর ‘কিছু না হওয়া’। আপনাদের ‘কিছু’ হতে হবে এবং এ জন্য ক্ষমতায়ন দরকার। আর শিক্ষা আপনাদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে পারে, তবে শিক্ষা কেবল ক্লাসরুমেই পাওয়া যায়, তা নয়; ক্লাসরুমনির্ভর হয়ে না থেকে চারপাশের জগৎ থেকেও জীবনের জন্য দরকারি বিষয়গুলো শিখতে হবে।”

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘পৃথিবীর অনেক নারী নোবেলসহ অনেক বড় পুরস্কার পেয়ে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। তোমরাও নিজেদের যোগ্য করে তুলবে এবং সামনে এগিয়ে যাবে। শিক্ষার মাধ্যমেই নারীর ক্ষমতায়ন সম্ভব।’

অনুষ্ঠান শেষে হাইকমিশনার ড. লিলি নিকোলসকে উত্তরীয় পরিয়ে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মারক ক্রেস্ট উপহার দেন ড. পারভীন হাসান। অনুষ্ঠানে নবীনদের উদ্দেশে আরও বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের চেয়ারপারসন হাসান শিরাজী, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারপারসন শাহনাজ পারভীন, সোশিওলজি অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারপারসন ড. ফজিলা বানু লিলি এবং বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মালেকা বেগম।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের লেকচারার জারিন তাসনিম।

এ বিভাগের আরো খবর