বন্যা পরিস্থিতির কারণে সারাদেশে ১ লাখ ২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীর বই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব শিক্ষার্থীদের হাতে আগামী ২৪ জুলাইয়ের মধ্যে নতুন বই পৌঁছে দেয়া হবে।
রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতিতে অনেক শিক্ষার্থীর পাঠ্যপুস্তক নষ্ট হয়ে গেছে। তাদের তালিকা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত সিলেট জেলায় ১ লাখ ২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীর তালিকা পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে সিলেটে ২৫ হাজার ৬০১ এবং সুনামগঞ্জে ৭৬ হাজার ৮৯৯ সেট বই দিতে হবে। আশা করছি বন্যাদুর্গত এলাকার শিক্ষার্থীদের মধ্যে আগামী ২৪ জুলাইয়ের মধ্যে নতুন বই পৌঁছে দেয়া হবে।’
তিনি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীর মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম-১০ শ্রেণি ও ভোকেশনাল স্তরে সিলেটে ১৪ হাজার ৭৭৯ ও সুনামগঞ্জে ৪২ হাজার ৭৫৫ সেট।
এসএসসি ও দাখিলে ২০২২ সালের পরীক্ষার্থীদের সিলেটে ৬৮২ ও সুনামগঞ্জে ১০ হাজার ৫৮৬ সেট, ইবতেদায়ি ও দাখিলে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম-১০ শ্রেণির সিলেটে ১০ হাজার ১৪০ ও সুনামগঞ্জে ২৩ হাজার ৫৫৮ সেট বিতরণ করা হবে। সেই হিসাবে সিলেটে মোট ২৫ হাজার ৬১০ ও সুনামগঞ্জে ৭৬ হাজার ৮৯৯ সেট বই পাঠানো হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সিলেট ও সুনামগঞ্জে উল্লেখিত পাঠ্যপুস্তকসহ কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম অঞ্চল এবং নরসিংদী জেলার ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের আগামী ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে এসব বই পাঠিয়ে দেয়া হবে। এর অতিরিক্ত চাহিদা থাকলে এনসিটিবির গুদাম (বাফা) থেকে শিক্ষার্থীদের বই দেয়া হবে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষকদের কোচিং বন্ধ করে দেয়া হবে না। তবে শিক্ষকদের প্রাইভেটে পড়লে নম্বর বেশি পাবে, না পড়লে কম পাবে, বাধ্য করে কোচিংয়ে নেয়া এসব অনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ করতে শিক্ষা আইনে বলা হয়েছে। এটি বন্ধ করতে শিক্ষকরা নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পড়াতে পারবেন না।’
তিনি বলেন, ‘এসব বিষয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং/গভর্নিং বডির সদস্য, প্রতিষ্ঠান প্রধান ও অভিভাবক প্রতিনিধিরা নিয়মিত মনিটরিং করবেন। তার সঙ্গে অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে। শুধু আইন করে কোনো কিছু বন্ধ করা সম্ভব হয় না। সবাই সচেতন হলে অনিয়ম বন্ধ করা সম্ভব হবে।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরীসহ আরও অনেকে।