কোচিং বিষয়টা সারা পৃথিবীতে আছে। নানান বিষয়ে কোচিং দেয়া হচ্ছে। তাই কোচিং খারাপ কিছু নয় বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে নানান বিষয়ে কোচিং দেয়া হচ্ছে। কোচিং খারাপ কিছু নয়। সব শিক্ষার্থীর মেধা এক রকম নয়, তাদের সবার ক্লাসে পড়া আত্মস্থ করার সক্ষমতাও সমান নয়। আবার সব শিক্ষার্থীর বাড়িতে দক্ষ, শিক্ষিত বাবা-মা আছেন বা তাদের সময় আছে, সেটাও সবার ক্ষেত্রে সমান নয়।
‘কিছু শিক্ষার্থী পিছিয়ে পড়তেই পারে, তার একটু সহযোগিতার প্রয়োজন হতেই পারে। আমরা চেষ্টা করব যতদূর সম্ভব প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে। শিক্ষকরাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভেতরে রেমিডিয়াল ক্লাস, এক্সট্রা ক্লাস নেবেন। অভিভাবকদের সম্মতিতে একটা ছোট্ট ফি নিয়ে সেই ক্লাসগুলো পরিচালনা করা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে কোচিং সেন্টারের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ছবি: নিউজবাংলা
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো শিক্ষক যদি প্রাইভেটলি কোচিং করাতে চান, সেটি তিনি করতে পারবেন। তবে, কোচিংয়ে পড়লে নম্বর বেশি দেবেন, পরীক্ষায় পাস করাবেন, না পড়লে পাস করাবেন না; এমনটা অনৈতিক। সে জন্যই বলেছি, কোনো শিক্ষক তার নিজের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীকে কোচিং করাতে পারবেন না।’
এটা মনিটরিং কে করবে এমন প্রশ্নে দীপু মনি বলেন, ‘সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি ও অভিভাবকরা এটা মনিটরিং করবেন। সঙ্গে সবার সচেতন প্রয়াস থাকতে হবে।
সাম্প্রতিক সময়ের শিক্ষক নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির পরে বিশ্বজুড়ে অসহিষ্ণুতা বেড়েছে। মানুষ অনেক ধরনের টেনশন ও ট্রমার মধ্য দিয়ে গেছে। সে কারণে মনোবিজ্ঞানীরাও বলছেন, করোনা-পরবর্তী সময়ে মানুষ অসহিষ্ণু আচরণ করছে।
‘বয়ঃসন্ধিকালে মানুষের মাঝে আচরণগত সমস্যা তৈরি হয়। এই বয়সে যারা করোনাকালীন ট্রমায় পড়েছে, তাদের মধ্যে অসহিষ্ণুতা থেকেই যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি, এই ঘটনাগুলো যেন না ঘটে। কিছু কিছু ঘটনা তাও ঘটে যাচ্ছে। আমরা চাই না শিক্ষকের মর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হোক। যেখানেই এমন ঘটনা ঘটছে, সেখানেই তদন্ত হচ্ছে, ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ সব জায়গাতেই বাড়ছে। আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখেই করোনাকে মোকাবিলা করার চেষ্টা করব। ৫-১১ বছর বয়সীদের রেজিস্ট্রেশনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এই কার্যক্রম শেষ করে আমরা টিকা দেয়ার কাজ শুরু করব।’
শিক্ষা আইনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষা আইন ক্যাবিনেটে গেছে, তারা এটি কবে ক্যাবিনেটে তুলবেন, সেটা তাদের বিষয়। এ বিষয়ে আমরা এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারব না।’