বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ১০ সেপ্টেম্বর

  •    
  • ১৬ জুলাই, ২০২২ ১৭:২০

শিক্ষার্থীরা ১৭ জুলাই রোববার থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করা যাবে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত। ফি ধার্য করা হয়েছে ১২০০ টাকা।

কৃষিবিজ্ঞান বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানকারী ৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে। সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১০ সেপ্টেম্বর।

শিক্ষার্থীরা ১৭ জুলাই রোববার থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করা যাবে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত। ফি ধার্য করা হয়েছে ১২০০ টাকা।

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া নিউজবাংলাকে শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া কৃষি গুচ্ছ ভর্তি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১৭ বা ২০১৮ বা ২০১৯ সালে এসএসসি অথবা সমমান ও ২০২০ বা ২০২১ সালে এইচএসসি অথবা সমমানের পরীক্ষায় যারা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত বিষয়সহ উত্তীর্ণ হয়েছেন, কেবল তারাই আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীর এসএসসি বা সমমান ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় প্রতিটিতে চতুর্থ বিষয় ব্যতীত ন্যূনতম জিপিএ ৪.০০ ও সর্বমোট ন্যূনতম জিপিএ ৮.৫০ থাকতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত তথ্য অনুযায়ী, জিসিই ও এ লেভেল পাসকৃত প্রার্থীর ক্ষেত্রে ও লেভেল পরীক্ষায় অন্তত ৫টি বিষয়ে ও এ লেভেল পরীক্ষায় বিজ্ঞানের অন্তত ২টি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। উভয় পরীক্ষায় প্রতিটিতে ন্যূনতম জিপিএ ৪.০০ এবং সর্বমোট ন্যূনতম জিপিএ ৮.৫০ থাকতে হবে। এক্ষেত্রে এ ও বি গ্রেডের জন্য যথাক্রমে ৫ ও ৪ জিপিএ গণনা করা হবে।

কৃষি গুচ্ছে এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে এইচএসসি বা সমমান পর্যায়ে ইংরেজিতে ১০, প্রাণিবিজ্ঞানে ১৫, উদ্ভিদবিজ্ঞানে ১৫, পদার্থবিজ্ঞানে ২০, রসায়নে ২০ এবং গণিতে ২০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। প্রতিটি সঠিক উত্তরের জন্য এক নম্বর দেয়া হবে এবং প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে।

মোট ১৫০ নম্বরের ভিত্তিতে ফল প্রস্তুত করা হবে। ভর্তি পরীক্ষার ১০০ নম্বরের সঙ্গে এসএসসি বা সমমানের জন্য ২৫ ও এইচএসসি বা সমমানের জন্য ২৫ নম্বর যোগ করে ফল প্রস্তুত করে মেধা ও অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরি করা হবে।

অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা ১০ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টা ৩০ থেকে ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সাতটি কেন্দ্র ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে এক বা একাধিক উপকেন্দ্রের অধীনে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কোনো সিলেকশন করা হবে না।’

তিনি জানান, এ বছর অষ্টম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যুক্ত হয়েছে হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত বাকি ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার কেন্দ্র হবে।

ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রগুলো হলো

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর; শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা; পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী; চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম; সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট এবং খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা।

পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোর তালিকা অনুযায়ী আবেদনকারীকে ১ থেকে ৭ পর্যন্ত পরীক্ষা কেন্দ্রের পছন্দক্রম উল্লেখ করতে হবে। তবে আবেদনকারীর পছন্দক্রম অনুযায়ী পরীক্ষা কেন্দ্রের আসন শূন্য থাকা সাপেক্ষে অগ্রাধিকারভিত্তিতে পরীক্ষা কেন্দ্র নির্ধারণ করা হবে।

ওয়েবসাইটের ভর্তি নির্দেশিকা অনুযায়ী অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। আবেদন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য www.acas.edu.bd ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কত আসন

কৃষি গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বমোট আসন রয়েছে ৩ হাজার ৫৩৯টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসন রয়েছে ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে, ১ হাজার ১১৬টি।

এছাড়া শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৭০৪, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৬০, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৪৩, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৪৫, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৩১, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫০ এবং হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯০টি আসন রয়েছে। এ বছর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০টি ও হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯০টি আসন যোগ হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর