বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেই কলেজ থেকে এবার ঢাবিতে ৩১ জন

  •    
  • ৫ জুলাই, ২০২২ ২২:২৩

একই শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ৩৯ জন এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পান এই কলেজ থেকে।

সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মেধার প্রতিফলন ঘটিয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থীরা।

এখানকার ৩১ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছে ঢাবির ‘ক’ ইউনিটে বা বিজ্ঞান বিভাগে।

২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের প্রকাশিত ফলাফলে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে এই বিদ্যাপীঠ। ভর্তির সুযোগ পাওয়া ৩১ জনের মধ্যে ২৬ জন ছেলে ও ৫ জন মেয়ে রয়েছেন।

একই শিক্ষাবর্ষে সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ৩৯ জন এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পান এই কলেজ থেকে।

চলতি বছর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ২৬৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন ২৬৫ জন। এর মধ্যে জিপিএ-৫ অর্জন করেন ২৪৯ জন।

২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস পরীক্ষায় ৩৯ জন, বুয়েটে ১৬ জন এবং সবশেষ ঢাবিতে ৩১জনের মেধার বহিঃপ্রকাশ ঘটে।

২০২১ সালে ৪০ জন, ২০২০ সালে ৪০ জন, ২০১৯ সালে ৩৬ জন ও ২০১৮ সালে ৩৮জন শিক্ষার্থী সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান। প্রতি বছর মেডিক্যাল ছাড়াও বুয়েট, রুয়েট, চুয়েটসহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জায়গা করে নেন এই কলেজের শিক্ষার্থীরা।

ঢাবিতে ভর্তির সুযোগ পাওয়া নূর আলম বলেন, ‘সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, এখানে পড়াশোনায় প্রতিযোগিতা থাকে। আমরা যারা পড়ি, কে কার চেয়ে ভালো করব, এটাই লক্ষ্য থাকে।

‘বাবা-মায়ের দোয়া আর শিক্ষকদের সঠিক নির্দেশনায় ঢাবিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। এটা কতটা আনন্দের, বলার ভাষা নেই।’

ভর্তির সুযোগ পাওয়া আরেক শিক্ষার্থী ঈশিকা বলেন, ‘শিক্ষকরা কঠোর তদারকি করতেন। পুঙ্খানু পুঙ্খানুভাবে আমাদের পড়াশোনা বিশ্লেষণ করতে হয়। যার কারণে সুফল পাই আমরা শিক্ষার্থীরা। আজকে ঢাবিতে সুযোগ পাওয়ায় সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’

অভিভাবক পরিতোষ কুমার রায় বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি আমাদের অভিভাবকদের মধ্যে সাহস জুগিয়েছে এবং প্রতিযোগিতায় ফেলে দিয়েছে। ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে আমরা সোচ্চার হচ্ছি এবং শিক্ষকদের কঠোর মনিটরিংয়ের ফলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে।’

সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম আহমেদ ফারুক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এ অর্জনে আমরা গর্বিত। প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ইঞ্জিনিয়ারিং গুচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী রয়েছে।’

অধ্যক্ষ বলেন, ‘আমরা এখানে শিক্ষার্থীদের গ্রিন-ক্লিন লার্নিং পদ্ধতিতে পড়ানোর চেষ্টা করি। এতে সবার মধ্যে প্রতিযোগিতা ও মননশীলতা বৃদ্ধি পায়। এখানে ভর্তি পরীক্ষা অত্যন্ত স্বচ্ছ।

‘ক্লাশরুমেই সম্পূর্ণ পাঠদান হয়। এর ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের যাবতীয় প্রয়োজনীয়তা মাথা রাখা হয়।’

তিনি বলেন, ‘প্রতি বছরই আমাদের ভালো করার প্রানান্ত চেষ্টা থাকে। আমরা সেভাবে শিক্ষার্থীদের তৈরি করে থাকি।’

১৯৬৪ সালে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই সময় প্রতিষ্ঠানটির নাম ছিল সৈয়দপুর সরকারি কারিগরী স্কুল। পরে এটিকে ১৯৭৭ সালে কলেজে উন্নীত করা হয়।

ওই সময় সৈয়দপুর সরকারি কারিগরী বিজ্ঞান মহাবিদ্যালয় নামকরণ করা হয়। ২০২০ সালে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ নতুন নাম করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর