বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমআরএএইউ) লালমনিরহাট ক্যাম্পাসের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
রোববার সকাল ১০টার দিকে বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নানবিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক সেশন উদ্বোধন করেন।
এ সময় উপাচার্য এয়ার ভাইস মার্শাল মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম নবনির্মিত ক্যাম্পাসে বিমানবাহিনী প্রধান ও তার সফরসঙ্গীদের স্বাগত জানান।
বিমানবাহিনী প্রধান বলেন, বিএসএমআরএএইউ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের প্রকল্প। বিশ্ববিদ্যালয়টি অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস শিক্ষায় এ অঞ্চলে সেন্টার অফ এক্সিলেন্সে পরিণত হবে।
বর্তমান সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি অ্যাভিয়েশন হাবে রূপান্তরের পরিকল্পনা নিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিমানবাহিনী প্রধান বলেন, বিশ্বব্যাপী দ্রুত অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস সেক্টরের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি ও সরবরাহে এই বিশ্ববিদ্যালয় বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।
বিএসএমআরএএইউর অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ২০২০ সালে ঢাকা ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস লালমনিরহাটে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, সেখানে এভিয়েশন ম্যানেজমেন্টে এমবিএ, এভিয়েশন সেফটি অ্যান্ড অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশনে এমএসসি এবং আন্তর্জাতিক ও মহাকাশ আইনে এলএলএম কোর্স চালু হয়েছে।
আগামীতে এমএসসি ইন অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (অ্যারোস্পেস), এমএসসি ইন অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এভিওনিক্স), এমএসসি ইন স্পেস সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং, এমএসসি ইন স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর কোর্স চালু করা হবে।
শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যতে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে উড়োজাহাজ, ফ্লাইট অপারেশন নিরাপত্তা, হেলিকপ্টার এবং মহাকাশের ওপর বিভিন্ন গবেষণারও সুযোগ পাবেন।
বিমানবাহিনী প্রধান দুপুরে নতুন ক্যাম্পাসে বৃক্ষরোপণ করেন।
এর আগে গত রোববার সকালে লালমনিরহাট শহরের পাশে বিমানঘাঁটি এলাকায় বিএসএমআরএএইউয়ের নতুন স্থায়ী ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন ভিসি এয়ার ভাইস মার্শাল মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।