ঢাকার সাভারে কলেজ শিক্ষককে হত্যা, নড়াইলে অধ্যক্ষকে লাঞ্ছনা এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বাসায় হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনের সড়কে রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারা মানববন্ধন করেন।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ বলেন, ‘আমরা আজকে যে সময়ে এসে দাঁড়িয়েছি সে সময় ছাত্রদের মাধ্যমে শিক্ষক হত্যা ও লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় দেখছি কিশোর গ্যাং তৈরি হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে শিক্ষক বা প্রশাসন যদি কথা বলে তখনই তারা শিক্ষক ও প্রশাসনের ওপরে চড়াও হন।
‘যে ঘটনাগুলো ঘটছে তার পেছনের কারণ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে খুঁজে বের করতে হবে। ঘটনার সমাধান খুঁজতে হলে উৎস খুঁজতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষক সমাজের বিরুদ্ধে খারাপ বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকুন।’
এই শিক্ষক আরও বলেন, ‘যে ছাত্র শিক্ষককে লাঞ্ছিত করে, মেরে ফেলে, তাদের আমি ছাত্র বলতে চাই না। তারা বিপথগামী। কোনোভাবেই তাদের ছাত্রত্ব থাকতে পারে না।’
পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জামাল উদ্দিন রনু বলেন, ‘রাষ্ট্রে যখন বিচারহীনতা ও অবিচার বেড়ে যাচ্ছে, তখন শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনাও বেড়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় শুধু একজন শিক্ষকের মৃত্যু হয়নি, বরং আদর্শগতভাবে সব শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে।
‘একদিকে ছাত্ররা অপকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে, অন্যদিকে শিক্ষকদের সঙ্গে তাদের যে আচরণ করার কথা ছিল সেটাও করছে না।’
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোতাহার হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন নিলাঞ্জন কুমার সাহা, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক শামসুল আলম সেলিম, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক তপন কুমার সাহা, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান সুমন, গণিত বিভাগের অধ্যাপক মাহতাব উদ্দিন আহাম্মদ, নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ফাহমিদা আখতার, ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হোসনে আরা এবং ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুমনা গুপ্তা।